আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্ট্রবেরি চাষে দারুন সাফল্য পেয়েছেন চাষিরা। এখানকার উৎপাদিত স্ট্রবেরি জেলার চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ করা হচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্নস্থানে।
কৃষকরা জানিয়েছে, কয়েক বছর থেকেই বাণিজ্যিকভাবে জেলার বিভিন্ন স্থানে স্ট্রবেরি চাষ শুরু হয়েছে। শীতকালীন দেশের ফল হলেও লাভবান হওয়ায় এর প্রতি ঝুঁকছেন এখানকার চাষিরা।
শিবগঞ্জ উপজেলার কালপুপুর গ্রামের স্ট্রবেরি চাষি আলমগীর হোসেন জানান, তিন বছর আগে তিনি এক বিঘা জমি লিজ নিয়ে স্ট্রবেরি চাষ শুরু করেন। তখন ৭০ হাজার টাকা খরচ করে আয় করেন প্রায় ৪ লাখ টাকা। এরপর দেড় বিঘা জমিতে চাষ শুরু করেন। সেবারও লাভের মুখ দেখায় এবার তিনি প্রায় সাড়ে তিন বিঘা জমিতে চাষ করছেন। তাতে প্রায় খরচ হয়েছে আড়াই লাখ টাকা। সেখান থেকে আয় করবেন প্রায় ১২ লাখ টাকা।
শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এসএম আমিনুজ্জামান জানান, স্ট্রবেরি একটি ঝুঁকিপূর্ণ চাষ হলেও আবহাওয়া অনূকূলে থাকায় এবার স্ট্রবেরির বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে কৃষকরা ভাল দামও পাচ্ছে।
তিনি জানান, শিবগঞ্জে ১০ হেক্টর জমিতে স্ট্রবেরি চাষ হচ্ছে। যা আগামীতে আরও বাড়বে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. মঞ্জুরুল হুদা বলেন, স্ট্রবেরি রসালো ও পুষ্টিকর ফল। স্বাদে অতুলনীয় হওয়ায় এটি সারাবিশ্বে সমাদৃত। দেশের আবহাওয়ায় আশ্বিন মাসই (মধ্য সেপ্টেম্বর থেকে মধ্য অক্টোবর) স্ট্রবেরির রোপণের উপযুক্ত সময়। তবে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত চারা রোপণ করা যায়। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে গাছে ফুল আসতে শুরু করে এবং ডিসেম্বরের শেষ ভাগ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ফল আহরণ করা যায়। অল্প বিনিয়োগে বেশি মুনাফা হওয়ায় এটি চাষে কৃষকদের আগ্রহ অনেক বেশি।
তিনি বলেন, স্ট্রবেরি চাষে চাষিরা যেমন লাভবান হচ্ছেন, তেমনি এটির ঝুঁকিও রয়েছে। বাজার ধরতে না পারলে চাষিরা ক্ষতির সম্মুখীনও হতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, স্ট্রবেরির যে দাম, সে অনুযায়ী স্থানীয় বাজারে এর চাহিদা সেভাবে নেই। পুরোপুরি বাইরের বাজারের ওপর নির্ভরশীল।