১৮ বছর পর ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আব্দুল খালেককে (৫৫) গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে তাকে ঈশ্বরগঞ্জ থানা থেকে ময়মনসিংহ আদালতে প্রেরণ করা হয়।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোখলেছুর রহমান শনিবার দুপুরে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঈশ্বরগঞ্জের আব্দুস ছালাম হত্যাকাণ্ডে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন আব্দুল খালেক। গ্রেফতার এড়াতে সে ফেরারি ছিল। শুক্রবার তাকে গ্রেফতার করে শনিবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এর আগে গত শুক্রবার রাতে কুমিল্লার লাঙ্গলকোট এলাকায় যৌথ অভিযান চালিয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশ ও কুমিল্লা ডিবি পুলিশ আব্দুল খালেককে গ্রেফতার করে। পরে তাকে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় নিয়ে আসা হয়।
গ্রেফতারকৃত আব্দুল খালেক ঈশ্বরগঞ্জের মাইজবাগ এলাকায় রাউলের চর গ্রামের আরব আলীর ছেলে। ২০০২ সালের আগস্ট মাসে সুদের টাকা আদায়ের জের ধরে আব্দুস ছালাম নামে এক ব্যক্তিকে মারধর ও বল্লম দিয়ে আঘাত করে পাওনাদাররা। ওই ঘটনায় ২০০২ সালের ৮ আগস্ট নিহতের স্ত্রী জুলেখা বেগম বাদী হয়ে আবদুল খালেক, বাচ্চু মিয়াসহ কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে খালেক, বাচ্চুসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। আদালত বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২০১৭ সালের ১ জুন আসামি আবদুল খালেক ও বাচ্চু মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। কিন্তু সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামি পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের পর আবদুল খালেক পলাতক ছিলেন। ফেরারি হয়ে নতুন করে সংসার শুরু করেন কুমিল্লার লাঙলকোট উপজেলার গুমকোট গ্রামে। কৃষি কাজ করে নতুন সংসার শুরু করা হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি আবদুল খালেকের খোঁজ পায় পুলিশ। পরে ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশ ও কুমিল্লা ডিবি পুলিশের অভিযানে শুক্রবার রাতে আব্দুল খালেককে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান ঈশ্বরগঞ্জ থানার এসআই শাওন চক্রবর্তী।