কুষ্টিয়ায় তিন মাস বয়সী এক শিশুকে হত্যার দায়ে শাপলা রানী নামে এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৫ মার্চ) দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরুপ কুমার গোস্বামী এই রায় প্রদান করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শাপলা রানী কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর দাশপাড়ার বিশু কুমার দাসের স্ত্রী।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২২ জানুয়ারি মা আল্লাদী দাস শিশু মুক্তাকে ঘুম পাড়িয়ে তার ভাইয়ের বাড়িতে যায়। এসময় চাচাতো চাচি শাপলা মুক্তাকে তুলে নিয়ে যায় এবং সন্ধ্যার দিকে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বাড়ির পিছনের টিউবওয়েলের পাশে ফেলে রাখে। পরে মুক্তার বাবা মা মুক্তাকে খুঁজে না পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। এরপর পুলিশ এসে বাড়ির পেছন থেকে মুক্তার মরদেহ উদ্ধার করেন।
এই ঘটনায় মুক্তার দাদা সুনিল কুমার দাস বাদী হয়ে ২০১৯ সালের ২৩ জানুয়ারি কুষ্টিয়া মডেল থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সন্দেহভাজন হিসেবে শাপলা রানীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে শাপলা রানী হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
কুষ্টিয়া আদালতের সরকারি কৌশলী (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী জানান, এ মামলায় দীর্ঘ শুনানি শেষে শাপলার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আজ বিজ্ঞ আদালত এই রায় প্রদান করেন। আসামি শাপলার ছোট দুটি সন্তান থাকায় বিশেষ বিবেচনায় তাকে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।