কুষ্টিয়ায় মসুর ডাল চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। ভালো বীজ ও ডাল উৎপাদন করতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করেছে কৃষি বিভাগ।
মসুর ডালের মৌসুম এখন শেষের দিকে। মাঠে মাঠে মসুর তোলার কাজ শুরু করেছেন কৃষকরা। কেউ কেউ মাঠ থেকে মসুর তুলে এনে মাড়াই করছেন। আবার কেউ ইতোমধ্যে মসুর ডাল ঘরে তোলা শুরু করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে কোন বিপর্যয়ের মুখে পড়েননি কৃষকরা।
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার মশান গ্রামের আব্দুল মান্নান দুই বিঘা জমিতে বারি-৬ জাতের মসুর চাষ করেছিলেন। ১৪ মণ মসুর পেয়েছেন তিনি। স্বল্প খরচে বেশ লাভবান হয়েছেন বলে জানান এই চাষি।
আরেক চাষি কিরামত আলী বলেন, এক বিঘা জমিতে মসুর চাষ করে মাত্র দুই হাজার টাকা খরচ হয়েছে তার। জমিতে তেমন কোন সার-কীটনাশকও দিতে হয়নি। বেশ ভালো ফলন হয়েছে। তিনজন শ্রমিক দিয়ে মসুর ডাল ঘরে তুলেছেন তিনি।
মিরপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রমেষ চন্দ্র ঘোষ জানান, বারি-৬ জাতের মসুরের বিঘায় সাত-আট মণ ফলন আসে। কম পরিশ্রম ও কম খরচ হওয়ায় কৃষকরা সহজেই লাভবান হচ্ছে এই শস্য চাষে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) রঞ্জন কুমার প্রামাণিক জানান, এ বছর জেলার ৬টি উপজেলায় ১২ হাজার ৪০৫ হেক্টর জমিতে মসুরের চাষ হয়েছে। বারি-৬ মসুরের রোগ দমনে কৃষকদের নিয়ে নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে কৃষি বিভাগ।