নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভি বলেছেন, ‘দেশের অনেকে এখনো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্মস্থান হিসেবে রোজ গার্ডেন চিনলেও সত্যিকার অর্থে জন্ম হয়েছে মিউচুয়াল ক্লাবে। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীর ১০১ পৃষ্ঠায় তিনি মিউচুয়াল ক্লাবের কথা উল্লেখ করেছেন। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও ঘোষণা দিয়েছেন যে মিউচুয়াল ক্লাবেই আওয়ামী লীগের জন্ম।’
মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) মুজিব বর্ষ উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ শহরের পাইকপাড়ায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত মিউচুয়াল ক্লাবের নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে এক আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর মিউচুয়াল ক্লাবে আগমন ও স্মৃতিচারণ করেন।
মেয়র আইভি বলেন, ‘আমার স্বপ্ন আজ বাস্তবায়িত হলো। আমি চেয়েছিলাম নিজ হাতে এই মিউচুয়াল ক্লাবের নতুন রূপ দিব। আমি ইতিহাসের একটি অংশ হতে পেরে গর্বিত। এই মিউচুয়াল ক্লাবে আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছে। ১৯৪৯ সালে এই সভাটি হওয়ার কথা ছিল চাষাড়া বায়তুল আমানে। কিন্তু ১৪৪ ধারা জারির কারণে সেখানে বঙ্গবন্ধুসহ অন্যরা বসতে পারেননি। এরপরই তারা চলে আসেন পাইকপাড়া মিউচুয়াল ক্লাবে। এখানে বৈঠক করেন। তারপর ঢাকার রোজ গার্ডেনে গিয়ে দলের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ঠিক করা হয়। এসব কথা বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীতে লেখা আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তিন তলা বিশিষ্ট নির্মাণাধীন এই ক্লাবে বঙ্গবন্ধু ও শেখ রাসেল কর্নার থাকবে। এছাড়া থাকবে প্রচুর পরিমাণ বই। আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের জন্মশতবার্ষিকীতে নতুন ভবন উদ্বোধন করতে পারব বলে প্রত্যাশা করছি।’
মেয়র বলেন, ‘আমি ২০১১ সালে নির্বাচিত হওয়ার পরই বলেছি জয় বাংলা কারও একার নয়। জয় বাংলা এদেশের সার্বজনীন স্লোগান। বঙ্গবন্ধু কারও একার নয়, এটি আওয়ামী লীগের অনেকে কুক্ষিগত করতে চেয়েছে। সেসময় আমার এই কুক্ষিগত শব্দটি কাটছাঁট করে অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা চালিয়েছে। আজ ৯ বছর হাইকোর্টের রায়ে আমার সেই কথাটি পুরো দেশে বাস্তবায়িত হলো।’
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, ‘নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাদির, মুক্তিযোদ্ধা ও আমরা নারায়ণগঞ্জবাসীর সভাপতি হাজী নূর উদ্দিন, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু, বঙ্গবন্ধুর মিউচুয়াল ক্লাবের বৈঠকের প্রত্যক্ষদর্শী সিরাজুল হক সরদার প্রমুখ।