ঘরের চৌকি থেকে পড়ে গিয়ে এক কোমলমতি অবুঝ শিশুর বাম হাত ভেঙে যায়। আর তাকে পরিবারের লোকজন স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর হাসপাতালের চিকিৎসক ওই শিশুটির ভাঙা হাত রেখে প্লাস্টার করে দেন ডান হাতে।
মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) বিকালে নেত্রকোনার মদন উপজেলার ৫০ শয্যা হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। অবশ্য শিশুটিকে সন্ধ্যার দিকে পুনরায় ওই হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার ভাঙা হাতে প্লাস্টার করে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার বিকালে ইমা আক্তার (২) নামের এক শিশুর ভাঙা বাম হাত রেখে ডান হাতে প্লাস্টার করে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় ওই হাসপাতালের সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট মেডিকেল অফিসার মো. মিরাজুল ইসলাম মিরাজ। শিশু ইমা আক্তার মদন দক্ষিণপাড়া গ্রামের ইদুচানের মেয়ে।
এ বিষয়ে শিশুর পিতা ইদু চান বলেন, আমার দুই বছরের শিশু কন্যা ইমা আক্তার। মঙ্গলবার দুপুরে সে ঘরের চৌকি থেকে পড়ে গেলে তার বাম হাতে ব্যথা পায়। এ অবস্থায় তাকে মদন উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক হাতের এক্স-রে করতে বলেন। আমি এক্স-রে করাই। পরে হাসপাতালের সাব এসিস্ট্যান্ট মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মিরাজুল ইসলাম ভাঙা বাম হাতে প্লাস্টার না করে ডান হাতে প্লাস্টার করে দেন। পরে বাম হাতের অবস্থার অবনতি দেখে পুনরায় সন্ধ্যায় মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডান হাতের প্লাস্টার খুলে বাম হাতে প্লাস্টার করে দেওয়া হয়।
এ নিয়ে সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট মেডিকেল অফিসার মিরাজুল ইসলাম কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে এ বিষয়ে তিনি টিএইচসির সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
পরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফখরুল হাসান চৌধুরী টিপুর সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা হলে তিনি জানান, শুনেছি ইমা আক্তার নামের এক শিশুর ভাঙা হাত রেখে ভালো হাতে প্লাস্টার করে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগ দিলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।