পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও ব্যক্তিগত ছোট গাড়ির বাড়তি চাপ থাকায় পণ্যবাহী অপেক্ষমাণ ট্রাকের সারি বাড়ছে। তবে ফাঁকা রয়েছে দৌলতদিয়া ঘাট।
যাত্রী ভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনা করে বাস ও ব্যক্তিগত ছোট গাড়িগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নৌ রুট পারাপার করায় পণ্যবাহী ট্রাক চালক ও শ্রমিকদেরকে পড়তে হচ্ছে দীর্ঘ ভোগান্তিতে। বাস ও ছোট গাড়ির চাপ কমে গেলে সিরিয়াল অনুযায়ী ট্রাক পারাপার করা হবে বলে মন্তব্য জানিয়েছে ঘাট কর্তৃপক্ষে। এতে করে নৌ রুট পারাপারের জন্য ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হবে ট্রাকগুলোকে।
শুক্রবার (২০ মারচ) সকাল সাড়ে ৯টায় বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ডিজিএম জিল্লুর রহমান বার্তা২৪.কমকে জানান, পাটুরিয়া ঘাটে নদী পারাপারের জন্য ভোর থেকে বাস ও ছোট গাড়ির চাপ বেশি থাকায় সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার বন্ধ রাখা হয়। এতে করে পাটুরিয়া ফেরি ঘাট এলাকায় দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক অপেক্ষমাণ আছে। তবে জরুরী পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান তিনি।
এসময় তিনি আরো বলেন, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ রুটে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে ছোট বড় মিলে ১৫টি ফেরি রয়েছে। এর মধ্যে যান্ত্রিক ত্রুটিজনিত কারণে মেরামতে রয়েছে বড় ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন। যে কারণে যানবাহন পারাপারে ভোগান্তি কিছুটা বাড়ছে। তবে খুব অল্প সময়ের মধ্যে রুহুল আমিনের মেরামত সম্পন্ন করা হবে। পাটুরিয়া ফেরি ঘাট এলাকায় অপেক্ষমাণ যানবাহনের চাপ থাকলেও দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে যানবাহনের কোনো চাপ নেই বলেও জানান জিল্লুর রহমান।