বগুড়ায় সম্প্রতি বিদেশ ফেরত দুই শতাধিক প্রবাসীকে সঙ্গরোধে (হোম কোয়ারেন্টাইন) রাখতে স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসনকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। মাইকিং, লিফলেট বিতরণ এমনকি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে নিয়মভঙ্গকারীকে জরিমানা করা হলেও সঙ্গরোধে থাকা অনেকেই নিয়ম কানুনের তোয়াক্কাই করছেন না। তাদের নিয়ন্ত্রণে বাড়ির পাশে গ্রাম পুলিশ বসানো হয়েছে।
জানা যায়, শুক্রবার (২০ মার্চ) পর্যন্ত বগুড়ায় স্বাস্থ্য বিভাগের তত্ত্বাবধানে ২৬৩ জন প্রবাসী সঙ্গরোধে রয়েছেন। তবে এদের অধিকাংশই সঙ্গরোধে রয়েছেন কাগজে কলমে। তারা নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন হাট বাজারে। অনেকে আবার বাড়িতে থাকলেও পরিবারের সবার সঙ্গে অবাধে মেলামেশা করছেন। কেউ কেউ আবার গ্রামের মসজিদে যাচ্ছেন নামাজ পড়তে।
সঙ্গরোধে থাকা সারিয়াকান্দি উপজেলার এক প্রবাসী গত ১৮ মার্চ মালয়েশিয়া থেকে দেশে এসেছেন। তার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, তিনি বাসা থেকে বাইরে বের হচ্ছেন না। তিনি সুস্থ আছেন।
ওই এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত এক স্বাস্থ্যকর্মী ফারাজুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, প্রবাসীদের ফোন করে খবর নেওয়া হচ্ছে। তারপরও অনেকেই কথা শুনছেন না। কথা না শুনলে কি করার আছে?
আদমদীঘি উপজেলার ধামাইল গ্রামের এক প্রবাসীকে ফোন দিলে জানা যায় তিনি নামাজ আদায় করতে মসজিদে আছেন। তিনিও মালয়েশিয়া থেকে গত ১২ মার্চ দেশে ফেরেন। ওই এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত এক স্বাস্থ্যকর্মী বলেন, বাড়িতে গিয়ে নিয়মকানুন বলার পরও তারা নিয়ম ভাঙছেন।
এদিকে, বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) দিনব্যাপী সঙ্গরোধে থাকার নিয়মাবলী ভাঙার কারণে প্রবাসীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। উক্ত অভিযানগুলোতে ৫ প্রবাসীকে জরিমানা করা হয়। এদের মাঝে একজনকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ধুনটে প্রবাসীর বাসার সামনে গ্রাম পুলিশ বসানো হয়েছে।
বগুড়ার সিভিল সার্জন ডা. গাওসুল আজিম বার্তা২৪.কমকে বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠ কর্মীরা জনসচেতনতা বাড়াচ্ছে। তারা সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখছেন। এ বিষয়ে সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।