বেনাপোল ইমিগ্রেশনে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য চিকিৎসক সংকটে শনিবার (৩১ মার্চ) সকাল থেকে প্রায় ৩ ঘণ্টা আটকে ছিলেন ভারত ফেরত সহস্রাধিক পাসপোর্টধারী যাত্রী। এসময় চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
ভারত থেকে আসা বাংলাদেশি যাত্রী রুমেল বার্তা২৪.কমকে বলেন, তারা ভারতে প্রয়োজনীয় কাজ শেষে ভোর ৬টায় বেনাপোল ইমিগ্রেশন আসেন। কিন্তু ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মী না থাকায় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের পাসপোর্ট সিল বন্ধ করে দেয়।
যাত্রী তাহামিনা বলেন, প্রায় ৩ ঘণ্টারও অধিক সময় পরিবার পরিজন নিয়ে আটকা পড়েছি। এতে ভোগান্তির পাশাপাশি যাতায়াতের ট্রেন, বাস না পাওয়ায় এখন কিভাবে বাড়িতে ফিরব এ নিয়ে দুঃচিন্তায় আছি।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মহাসিন বলেন, চিকিৎসকদের ভোর ৬টা থেকে আশার কথা। নির্দিষ্ট সময়ের তিন ঘণ্টা পরে আসায় যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন।
এ নিয়ে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার নাজিম উদ্দনি জানান, তাদেরকে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় যশোর থেকে এসে অফিস করতে হয়। কিন্তু এত ভোরে বাস সংকটে আসতে দেরি হচ্ছে। এছাড়া ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ বলছেন স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফরমে মেডিকেল অফিসারের স্বাক্ষর ও সিল থাকতে হবে। এক্ষেত্রে একজন মেডিকেল অফিসারের পক্ষে এত বেশি যাত্রীর স্বাক্ষর ও সিল দেওয়া অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জানা যায়, বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় ভিসায় সাধারণ যাত্রীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ভারত থেকে ফিরছেন বাংলাদেশি ও ভারতীয়রা। করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে আগে কেবল ভারত ফেরত যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হলেও এখন যাত্রীদের প্রবেশের আগে একটি স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফরম পূরণ করে মেডিকেল অফিসারের স্বাক্ষর নিতে হচ্ছে। পরে এ ফরমটি দেখে ইমিগ্রেশন পুলিশ যাত্রীদের প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছেন। কিন্তু স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক দেরিতে আসায় যাত্রীরা আটকা পড়েন।