কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে মূল্য তালিকা না থাকাসহ বেশি দামের চাল বিক্রির অপরাধে চারটি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এছাড়াও মিরপুর ও ভেড়ামারায় প্রথক অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় করা হয়।
শনিবার দুপুরে এ অভিযান পরিচালনা করেন কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ই্উএনও) রাজিবুল ইসলাম খান।
তিনি জানান, করোনাভাইরাস নিয়ে যখন সবাই আতংকিত, এক শ্রেণির চাল ব্যবসায়ী অন্যায়ভাবে তথ্য লুকিয়ে চালের দাম বৃদ্ধির পাঁয়তারা করছেন। চালের দাম লুকানোর জন্য কোন বিক্রি রশিদে মূল্য লেখা হচ্ছে না, কেউ কেউ বিক্রি রশিদই রাখছেন না।
মূল্য তালিকা সংরক্ষণ ও প্রদর্শন না করা এবং বেশি দামে চাল বিক্রির অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী উপজেলার আলাউদ্দিন নগর এলাকার আজিজ এগ্রো ফুডকে ৩০ হাজার টাকা, ভাই বোন এগ্রো ফুডকে ২৫হাজার টাকা, জসিম এগ্রো ফুডকে ২৫ হাজার টাকা এবং বাটিকামারা এলাকার মুকুল এগ্রো ফুডকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
তাদের সকলকে চালের ক্রয় ও বিক্রয় রশিদ এবং স্টক রেজিস্টার সংরক্ষণের নির্দেশ দেয়া হয়।
এসময় উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে মিরপুর বাজারে দুই চাল ব্যবসায়ীকে ৫ হাজার টাকা করে মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। উপজেলা সহাকারী কমিশনার রাকিবুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়াও ভেড়ামারা বাজারে ভাউচার ছাড়া অধিক দামে চাল বিক্রির অপরাধে আ: কুদ্দুস নামে এক চাল ব্যবসায়ীকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ মোতাবেক ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল মারুফ।