যশোরের চৌগাছায় সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজি দরের ৫৮ বস্তা (প্রতি বস্তা ৩০ কেজি) চাল উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (২১ মার্চ) দুপুরে চৌগাছা শহরের বাইপাস সড়কে চালগুলো জব্দ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম। এই ঘটনায় চৌগাছার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নারায়ণ চন্দ্র পালকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাঁচ দিনের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শনিবার রাতে মোবাইল ফোনে চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি দরের ৩৯ বস্তা চাল ভর্তি একটি আলমসাধু জব্দ করা হয়। গাড়িটির চালক জানিয়েছেন ওই চালের মালিক চৌগাছার ধুলিয়ানি ইউনিয়নের কাবিলপুর বাজারের চাল ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলাম। পরে অপর একটি আলমসাধু থেকে আরও ১৯ বস্তা চাল পাওয়া যায়। ওই চালের মালিক ঝিকরগাছার গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়নের ছুটিপুরের বাসিন্দা। উদ্ধারকৃত মোট ৫৮ বস্তা চাল জব্দ দেখানো হয়েছে। দুই আলসাধু ও চালককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তারা সাক্ষী হিসেবে তদন্তে সহযোগিতা করবেন। দশ টাকা কেজির চাল কিভাবে খোলাবাজারে আসলো, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এজন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) নারায়ণ চন্দ্র পালকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৫ দিনের মধ্যে তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিবে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, কাবিলপুর গ্রামের চাল ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগে কাবিলপুর বাজারে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণ করা হয়। সেই সময় কার্ডধারীরা সেখান থেকে ১০ টাকা কেজি দরে কিনে আমার কাছে বিক্রি করেছে। যা শনিবার যশোরে বিক্রির জন্য পাঠাচ্ছিলাম।
স্থানীয়রা জানান, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চালের কার্ডধারী ব্যক্তিরা ১০ টাকা কেজি দরে চাল কিনে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করে দেন। এসব চাল স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ী ক্রয় করে বাজারজাত করেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পক্ষপাতিত্বের কারণে অপেক্ষাকৃত বিত্তশালীরা এসব কার্ড পেয়ে থাকেন। এজন্য তারা ১০ টাকা কেজির চাল উত্তোলন করে খোলা বাজারে বেশি দামে বিক্রি করে দেন।