সারা বিশ্ব এখন কাঁপছে করোনাভাইরাসে। ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশও। সংখ্যায় কম হলেও প্রতিদিনই দেশে বাড়ছে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এর মধ্যে মারাও গিয়েছেন দুইজন।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমানোর জন্য সরকার নানা ধরনের জনসচেতনতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও সেটা মানছেন না বেশিরভাগ মানুষ। জনসমাগম এড়াতে সরকার দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তারপরও মানুষ সচেতন হচ্ছে না।
কিন্তু রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি বাজারে আওয়ামী লীগের অফিস সংলগ্ন লেখাপড়া না জানা চা বিক্রেতা কাছেদ মন্ডল করোনাভাইরাস মোকাবিলায় নিজের এবং ক্রেতাদের নিরাপত্তায় নিয়েছেন বেশ কয়েকটি উদ্যোগ। তার মধ্যে রয়েছে নিজে মাস্ক ব্যবহার করা, চা বানানোর সরঞ্জামাদি বারবার পরিষ্কার করা, কাঁচের কাপের পরিবর্তে ওয়ানটাইম কাপ ব্যবহার, এক সঙ্গে ৪-৫ জনের বেশি প্রবেশ না করা, প্রত্যেকের থেকে প্রত্যেকে তিন ফুট দূরত্বে বসে চা পান করা এবং চা পান করা শেষ হলে দ্রুত স্থান ত্যাগ করা, অযথা বসে গল্প না করা ইত্যাদি।
রোববার (২২ মার্চ) সকালে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চা বিক্রেতা কাছেদ মন্ডল মুখে মাস্ক ব্যবহার করে ৫টি ওয়ানটাইম কাপে চা বানাচ্ছেন। দোকানে ক্রেতাও রয়েছে ৫ জন। সবাই অনেক দুরে দুরে বসে আছেন।
এ সময় কথা হয় রিজু নামের এক ক্রেতার সাথে। তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, একজন সাধারণ চা বিক্রেতা করোনাভাইরাস রোধের জন্য যে পদক্ষেপ নিয়েছেন তা সত্যি প্রশংসার দাবিদার। তার কাছ থেকে আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করে সবাইকে সমন্বিতভাবে সচেতন হওয়া উচিত।
চা বিক্রেতা কাছেদ মন্ডল বার্তা২৪.কমকে বলেন, ভাই আমি তো পেপার-পত্রিকা পড়তে পারি না। তবে টিভি দেখে যেটা বুঝেছি সেটা হলো আমরা যদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকি তাহলে আল্লাহর রহমতে আমাদের কিছুই হবে না। সেজন্যই আমি এই উদ্যোগগুলো নিয়েছি।