মৌসুমের শুরুতে মুলা চাষ করে লাভবান হয়েছেন কৃষকরা। তবে বর্তমানে দাম না পাওয়ায় বাজারে নিয়ে যাওয়ারই খরচ উঠছে না তাদের। ফলে মাঠের পর মাঠ মুলা জমিতেই নষ্ট করে ফেলা হচ্ছে।
রোববার (২২ মার্চ) বগুড়া সদরের লাহিড়ীপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
কৃষকরা বলছেন, শীত মৌসুমের শুরুতে মুলা চাষ করে দ্বিগুণ লাভ করা গেছে। যারা শীতকালীন সবজির আগাম চাষ করে ওই জমিতে মুলা চাষ করেছেন তারাই মূলত লোকসানের মুখে পড়ছেন।
সবজি ব্যবসায়ীরা জানান, আবহাওয়া গরম এবং করোনাভাইরাস আতঙ্কের কারণে ঢাকাসহ বগুড়ার বাইরের জেলাগুলোতে মুলার চাহিদা কমে গেছে।
বগুড়ার সবচেয়ে বড় পাইকারি কাঁচাবাজার মহাস্থান হাটে দেখা গেছে, কৃষক মুলা বিক্রি করতে আসলেও দাম পাচ্ছেন না। ১০০ টাকা মণ দরে মুলা বিক্রি হচ্ছে। তারপরও উৎপাদনের তুলনায় ক্রেতা অনেক কম।
লাহিড়ীপাড়া ইউনিয়নের মধুমাঝিড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল বারী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘আমি ৪০ শতাংশ জমিতে কপি চাষের পর মুলা চাষ করেছিলাম। মুলা চাষে আমার ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু উৎপাদিত মুলা বিক্রি করে খরচের অর্ধেক টাকাও উঠবে না।’
একই গ্রামের কৃষক রফিকুল বলেন, ‘জমি থেকে মুলা উঠানো এবং সেগুলো পরিষ্কার করে ভ্যানযোগে মহাস্থান হাটে নিয়ে বিক্রি করে ভ্যান প্রতি ১৫০ টাকা লোকসান হয়। এছাড়া গরুও খাচ্ছে না এই মুলা। ফলে জমিতেই নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে।’
পাইকারি সবজি ব্যবসায়ী সামাদ ব্যাপারী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘মহাস্থান হাটের আশপাশের গ্রামগুলোতে মুলার বাম্পার ফলন হয়েছে। এ কারণে হাটে মুলার উৎপাদন হচ্ছে প্রচুর। ঢাকার পাইকারি বাজারে মুলার চাহিদা কমে যাওয়ায় স্থানীয় হাট-বাজারে দাম কমে গেছে।’
বগুড়া আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘এবছর ১ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে মুলা চাষ হয়েছে। ফলন হয়েছে বাম্পার। মৌসুমের শুরুতে কৃষক মুলার ভালো দাম পেলেও এখন কমে গেছে।’