নাটোর জেলায় চা-স্টল, রেস্তোরায় সমাগম, টেলিভিশন, ক্যারাম পরিচালনা, ঋণের কিস্তি আদায় ও হাটবাজার বন্ধসহ ৮টি নির্দেশনা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। এসব নির্দেশনা পালনে জনসাধারণকে বাধ্য করার জন্য আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোরভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রোববার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধ ও করণীয় বিষয়ে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা শেষে এসব নির্দেশনা জারি করেন জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ।
জনস্বার্থে নির্দেশনাগুলো হলো- বিদেশ ফেরতদের সঙ্গরোধে (হোম কোয়ারেন্টিন) যে কোনো মূল্যে নিশ্চিত করা, চা- স্টল, রেস্তোরাঁ সমূহে বসে খাবার গ্রহণ বন্ধ এবং পার্সেল আকারে ক্রয়-বিক্রয়, কোনো হোটেল, চায়ের দোকান বা অন্য কোনো দোকানে টিভি/ক্যারাম না রাখা, সাপ্তাহিক বড় হাটসমূহ আগামী এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ রাখা (তবে সেখানে প্রতিদিন প্রয়োজনীয় পণ্য ও দ্রব্যাদি ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে), বিনা প্রয়োজনে যত্রতত্র ঘরের বাইরে ঘোরাফেরা না করা এবং জেলার এনজিও কর্তৃপক্ষসমূহকে তাদের ঋণের কিস্তি সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ রাখা।
সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্দেশনাগুলো হল-স্ব-স্ব বিভাগ নিজেদের প্রয়োজনে পার্সোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্টের (পিপিই) ব্যবস্থা করা এবং জেলা ও উপজেলা সকল দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ কর্মস্থলে সার্বক্ষণিক অবস্থান করা।
জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ বলেন, জনস্বার্থে প্রেরিত এসব সিদ্ধান্ত মানুষ মেনে চলছে কি না- তা কঠোরভাবে মনিটরিং করা হবে।
এদিকে, সভার পরপরই সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় বিভিন্ন চায়ের দোকানে গিয়ে জনসাধারণকে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো অবহিত করেন এবং সেগুলো মেনে চলার নির্দেশনা দেন।