#করোনার সতর্কতায় আর্টিস্ট রনি আহমেদের ‘আর্ট’ নিয়ে মারমেইডের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ
বিশ্বজুড়ে তুলকালাম চলছে করোনাভাইরাস নিয়ে। গোটা পৃথিবীকে কাঁপিয়ে দিচ্ছে এ ভাইরাস। চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে তাণ্ডব শুরু করে। এরপর এ ভাইরাস ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকা, এশিয়া, অস্ট্রেলিয়ায় তার ভয়াল থাবা ছড়িয়ে দিয়েছে। করোনার ছোবলে উন্নত বিশ্ব ইউরোপের ইতালি এখন-মৃত্যুপুরী।
করোনার মহামারিতে মৃত্যুর চেয়ে আরেকটি আঘাত আরও ভীতিজনক- বন্ধ হয়েছে প্লেন চলাচল, রাতারাতি বেকার হচ্ছে মানুষ। ছোট ছোট ব্যবসা-বাণিজ্য ক্যাফে, রেস্তোরাঁ প্রায় বন্ধ। পর্যটন খাত ধ্বংসের মুখে। সবকিছু মিলে করোনা এখন অর্থনীতিকে বিপন্ন করেছে।
ভয়ংকর করোনায় বাংলাদেশও আক্রান্ত। গোটা দেশে বিরাজ করছে আতঙ্ক। আতঙ্কিত জনগণকে সচেতন করতে যার যার জায়গা থেকে অনেকেই এগিয়ে আসছেন। একমাত্র সচেতন ও সতর্ক হলেই এই মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। তাই মারমেইড বিচ রিসোর্ট কর্তৃপক্ষও জনসাধারণের সচেতনতার জন্য ব্যতিক্রমী একটি উদ্যোগ নিয়েছে।
আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন আর্টিস্ট রনি আহমেদের সঙ্গে যৌথভাবে মারমেইড বিচ রিসোর্ট সচেতনতামূলক এ কর্মসূচি নিয়েছে। আর্টের এর মাধ্যমে করোনা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করছে। প্রকৃতি, মানুষ, পশুপাখি, আত্মা-এসবের চিত্র তুলে ধরে মানুষকে মাস্ক পরা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে সচেতন করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ঘরে থাকার আহ্বানও জানানো হয়।
রনি আহমেদের একটি পেইন্টিং-এ দেখা যায়, করোনাভাইরাস বলছে, ‘বি অ্যাট হোম অর আই অ্যাম ক্যামিং’- এর মাধ্যমে তিনি মানুষকে ভয় পেয়ে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। না হলে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
একটি পাখির মুখে মাস্ক পরিয়ে দিয়েছেন তিনি, সেখানে মানুষের আত্মারও প্রতিচ্ছবি রয়েছে। তিনি তার চিত্রে প্রকৃতিকেও মাস্ক পরিয়ে দিয়েছেন মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে।
এ বিষয়ে আর্টিস্ট রনি আহমেদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বের মাথা ব্যথা করোনাভাইরাস। করোনা শব্দটা সবার মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। যে যে কাজটাই করুক করোনা ছাড়া আর কোনো কথা নেই। কবিও কবিতা লিখছে করোনা নিয়ে। আমিও আর্টের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করেছি। আর্টের মাধ্যমে মানুষকে ঘুরিয়ে বোঝাতে চেয়েছি, এখন ঘরে থাকা মাস্ক পরা কতটা প্রয়োজন। প্রকৃতি, পশু পাখি অবয়বে মাস্ক পরিয়ে ইন্টারেস্টিং পদ্ধতিতে সচেতন করতে চেয়েছি।
মারমেইড বিচ রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিসুল হক সোহাগ বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে এই সংকটকালীন মুহূর্তে সবার এগিয়ে আসা উচিত। মারমেইড সব সময় জনসচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডে অংশ নেয়। করোনা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে এই প্রোগ্রাম নিয়েছি আমরা। রনি আহমেদ আন্তর্জাতিক পুরষ্কার প্রাপ্ত একজন আর্টিস্ট। তার সঙ্গে যৌথভাবে আর্টের মাধ্যমে মানুষের মাঝে সতর্কবার্তা পৌঁছানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।