করোনাভাইরাসের কারণে সব ধরনের এনজিও যেন ঋণের কিস্তি আদায় স্থগিত রাখে সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছিলেন নাটোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহরিয়াজ। কিন্তু এ নির্দেশনা মানছে না অধিকাংশ এনজিও।
এনজিওগুলোর দাবি- সাময়িক কিস্তি আদায় বন্ধে এখনো কোনো চিঠি পাননি তারা।
জানা গেছে, বিভিন্ন এনজিওর মাঠকর্মীরা সোমবার সকাল থেকেই ঋণের কিস্তি আদায়ে কাজ করছেন। ঋণগ্রহীতারা জেলা প্রশাসকের নির্দেশের কথা স্মরণ করিয়ে দিলেও তারা কিস্তি আদায় বন্ধ রাখেননি। উল্টো এক প্রকার জোর করেই কিস্তির টাকা আদায় করছেন তারা। মঙ্গলবারও (২৪ মার্চ) থেমে নেই কিস্তি আদায় কার্যক্রম।
বেশ কয়েকজন ঋণগ্রহীতা জানান, করোনাভাইরাসের কারণে ঠিকমতো কাজ করতে পারছেন না তারা। এ কারণে কিস্তির টাকা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। কিন্তু এনজিওগুলোর মাঠকর্মীদের চাপ ও অত্যাচারে অতিষ্ঠ তারা।
তবে জোর করে বা চাপ দিয়ে টাকা আদায়ের কথা অস্বীকার করেছেন রুরাল রিকনস্ট্রাকশন ফাউন্ডেশন (আরআরএফ) নামে একটি এনজিওর মাঠকর্মী মিজানুর রহমান মিজান।
আরআরএফ এনজিওর নাটোর শাখার ম্যানেজার মমিনুল হক জানান, তারা কিস্তি আদায় বন্ধে কোনো লিখিত নির্দেশনা পাননি।
নাটোর জেলা প্রশাসক শাহরিয়াজ জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে সবাইকে কিস্তি আদায় বন্ধের বিষয়টি জানানো হয়েছে। এছাড়া জেলার সব এনজিও প্রতিনিধিদের নিয়ে বসার কথা রয়েছে।