আশুলিয়ায় গভীর রাত পর্যন্ত চলে চায়ের আড্ডা

ঢাকা, দেশের খবর

মাহিদুল মাহিদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা) | 2023-08-30 07:35:45

করোনাভাইরাস (কোভিড -১৯) এর করাল গ্রাস থেকে বাঁচতে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে গণজমায়েত এড়াতে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, বিনোদন পার্ক, কমিউনিটি সেন্টার, মিটিং-মিছিল, ওয়াজ মাহফিল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

কিন্তু সাভারের আশুলিয়ায় রাস্তার মোড়ে মোড়ে চায়ের দোকানগুলো মানছে না এমন নির্দেশনা। গভীর রাত পর্যন্ত দোকানগুলোতে চলে চায়ের আড্ডা।

সরজমিনে দেখা যায়, গভীর রাত পর্যন্ত চলছে চায়ের দোকানগুলো। এসব দোকানে চলছে আড্ডা। দোকানিরা বলছেন, সন্ধ্যা ৭টার পর সব দোকান বন্ধের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তা জানতেন না তারা। তাদের দাবি এ ধরনের কোন নিষেধাজ্ঞার খবর তাদের জানানো হয়নি।

আশুলিয়ার কলতাসূতি মাজার রোড এলাকার এক চা বিক্রেতা বলেন, আমার দোকানে সন্ধ্যা হলেই বেচা-বিক্রি বাড়ে। পোশাক কারখানা ছুটি হলেই গভীর রাত পর্যন্ত চায়ের চাহিদা থাকে। যতক্ষণ চাহিদা থাকে ততক্ষণ খোলা রাখি দোকান। তবে দোকান কে বন্ধ রাখতে বলেছে, কবে বলেছে আর কেনই বা বলেছে এ ধরনের কোন কথা তিনি শোনেননি।

নির্দেশনা না মেনে গভীর রাতে খোলা চায়ের দোকান

আরেক দোকানদার বলেন, শ্রমিকরা সকালে চা পান করে কাজে যায়। আর ছুটির পরে দোকানে বসে আড্ডা দেয়। তারা গল্প করে যে, দ্যাশে (দেশে) করুনা আইচে (করোনা এসেছে)। নির্দেশ পাইলে দোকান খুলতাম না। টাকার চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি।

এ ব্যাপারে চা পান করতে আসা পোশাক শ্রমিক মহিউদ্দিন খান বলেন, আমি প্রতিদিন এসব দোকানেই চা পান করতে আসি। সকালে দুপুর ও রাতে অফিস যাতায়াতের সময় চায়ের দোকানেই একটু বসি। দোকানে আড্ডা না দিলে ভাল লাগে না। তবে কোন ধরনের মাইকিং বা নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এর কোনো খবর পৌঁছে না এসব এলাকায়।

সতর্কতামূলক ও বিভিন্ন নির্দেশসহ মাইকিং শুধু মহাসড়ক দিয়ে করতে দেখা যায়, মহল্লার ভেতর এসব নির্দেশনা পৌঁছে না বলে দাবি এলাকাবাসীর।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা বলেন, আমরা পর্যাপ্ত মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করেছি। তা ছাড়া বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নোটিশ দেওয়া হয়েছে। করোনা প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর