মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় করোনা ভাইরাসজনিত কারণে কিস্তি আদায়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন জেলা প্রশাসক। তবে ওই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে দেদারসে কিস্তি আদায় করে যাচ্ছে গ্রামীণ ব্যাংক। খবর পেয়ে কর্তৃপক্ষকে জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার (২৫ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার ধানকোড়া গ্রামীণ ব্যাংক ম্যানেজারকে ২০০ টাকা জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল আলম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামীণ ব্যাংক ধানকোড়া শাখার এক কর্মী জানান, সাটুরিয়া উপজেলা ও ঢাকার ধামরাই উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন মিলে ধানকোড়া শাখার অধীনে গ্রামীণ ব্যাংকের মোট ৫৩টি শাখা রয়েছে। প্রতিটি শাখায় ৪০ থেকে ৬০ জন করে সদস্য রয়েছে। ম্যানেজারের নির্দেশে প্রতিটি শাখা থেকে কিস্তির টাকা আদায় করা হয়। আজ ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করলে দুপুরের পরে কেন্দ্রগুলোতে আর কিস্তি আদায়ে যায়নি কেউ।
এ সময় তিনি আরও জানান, করোনাভাইরাসজনিত কারণে অনেকের আয় কমে গেছে। কেন্দ্রে গেলে তারা কিস্তি দিতে অনীহা করেন। কিন্তু এসব কথা মানতে নারাজ ব্যাংক ম্যানেজার। এছাড়া কিস্তির টাকা আদায়ের জন্য নানা শ্রেণি পেশার মানুষের বাড়ি বাড়ি যাওয়া এখন নিজেদের জন্যও খুব ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যাংকের কিস্তি আদায় কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানান তিনি।
ধানকোড়া গ্রামীণ ব্যাংকের গ্রাহক সাজেদা বেগম জানান, সকালে জোর করে কিস্তি আদায় করে গ্রামীণ ব্যাংকের লোকজন।
এ বিষয়ে গ্রামীণ ব্যাংক ধানকোড়া শাখার ম্যানেজার মো. ছানোয়ার হোসেন জানান, কিস্তি বন্ধ রাখার বিষয়টি জানতেন না তিনি। সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জরিমানা করার পর কিস্তি আদায় বন্ধ রাখা হয়েছে। অন্যান্য লেনদেনের জন্য ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে।
সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল আলম জানান, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কিস্তি আদায় করায় ব্যাংক ম্যানেজারকে ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এরপরও যদি তারা তাদের কার্যক্রম বহাল রাখে, তবে আইন অমান্য করার দায়ে জেল দেয়া হবে।