করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকবিলায় সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলোতে টানা দশদিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। ভাইরাসটির সংক্রমণ রোধে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ।
সাধারণ ছুটির সময়টিতে নাগরিকদের জনসমাগম এড়িয়ে যার যার ঘরে থাকতে বলা হলেও শহর ছেড়ে গ্রামের বাড়ির দিকে যাত্রা করেছেন বিপুলসংখ্যক মানুষ। এতে করে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বেড়ে গিয়েছে।
আইইডিসিআরের সবশেষ তথ্য মতে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন কোন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত না হলেও নতুন করে একজন মারা গেছেন। মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচজনে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বাংলাদেশ সরকার সব ধরনের জনসমাগমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও তা মানছেন না অনেকেই। বরং দীর্ঘ ছুটি পেয়ে অনেকেই গ্রামের দিকে ছুটে চলেছেন।
জনসমাগম এড়িয়ে চলা তো দূরের কথা ভিড়বাট্টা তৈরি করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা ঘরে ফিরছেন। বুঝতেও পারছে না কি ভুল করছেন তারা। নিজেদের জীবনের পাশাপাশি চরম ঝুঁকিতে ফেলছেন পরিবারের সদস্যদেরও।
বুধবার (২৫ মার্চ) বিকেলে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে দেখা যায় ঘরমুখো মানুষের ব্যাপক ভিড়। মনে হচ্ছে সবাই কোন উৎসবে বাড়ি ফিরছেন। ঢাকা থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে মানুষের মিছিল মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাট দিয়ে পদ্মা নদী পার হচ্ছে। লঞ্চ সার্ভিস বন্ধ থাকায় সাধারণ যাত্রীরা ফেরিতেই নদী পার হচ্ছেন।
মাগুরার বাসিন্দা সবুজ মোল্লা বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমরা জানি করোনাভাইরাস ছোঁয়াচে রোগ। তারপরও বেশ কয়েক দিন ছুটি পাওয়ায় ঝুঁকি নিয়েই বাড়ি ফিরছি। আল্লাহর ওপর ভরসা রেখেই বের হয়েছি।
এদিকে দৌলতদিয়া ঘাটে মানুষের প্রচণ্ড ভিড় দেখে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজবাড়ী পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান। বার্তা২৪.কমকে তিনি বলেন, আমরা সচেতন কবে হবে? যেখানে বাংলার ১৭ কোটি মানুষ রয়েছেন ঝুঁকিতে, সেখানে কিভাবে সম্ভব এভাবে বাড়ি ফেরা? ঘরমুকো এই মানুষেরা আমাদের অনেক বড় ক্ষতি করে ফেলবে।
সবাইকে সব ধরনের জনসমাগম এড়িয়ে চলার জন্য এবং আরো অধিক সচেতন হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা এখনি থামুন। আপনাদের সন্তানদের জন্য, আপনাদের পরিবারের জন্য হলেও অন্তত থামুন।