প্রাণঘাতী করোনাভাইরােসর সংক্রমণ প্রতিরোধে যখন বিশ্ব হিমসিম খাচ্ছে তখন সচেতনতার অভাবে বেনাপোল বন্দরের শ্রমিক ও নিরাপত্তা কর্মীরা খোলামেলাভাবে জীবেনর ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। এতে এ ভাইরাসের সংক্রমণের বড় ধরনের ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে।
বন্দরের শ্রমিক ও নিরাপত্তা কর্মীরা বলছেন, তারা নিম্ন আয়ের মানুষ। প্রতিদিন মাস্ক ও হ্যান্ডগ্লাভস কিনে ব্যবহারের সাধ্য তাদের নাই। এছাড়া তারা যে বন্দরের হয়ে কাজ করছেন তারাও এ পর্যন্ত কোেনা ধরনের নিরাপত্তা সরঞ্জাম দিয়ে তাদের সহযোগিতা করেনি। এতে তারাও আতঙ্কেও মধ্যে আছেন। তবে তাদের কেউ কেউ নিজ উদ্যোগে মাঝে-মধ্যে কেবল মাস্ক ব্যবহার করছেন।
এ বিষয়ে বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল বলেন, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ হিসেবে তারা কিছু সামগ্রী নিরাপত্তাকর্মীদের দিয়েছেন। দুই এক দিনের মধ্যে সব নিরাপত্তাকর্মীদের দেওয়া হবে। তবে শ্রমিক ও নিরাপত্তা কর্মীদের সতর্ক থেকে কাজ করতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
জানা যায়, দেশে স্থলপথে ভারত থেকে যে আমদানি বাণিজ্য হয় তার ৭০ শতাংশ হয় বেনাপোল বন্দর দিয়ে। প্রতিবছর এ বন্দর থেকে সরকার প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে থাকে। বন্দরে পণ্য খালাস ও নিরাপত্তায় প্রায় দুই হাজার শ্রমিক ও তিন শতাধিক নিরাপত্তা কর্মী কাজ করছেন। ভারত থেকে আমদানি পণ্য নিয়ে প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ শতাধিক ট্রাক চালক বেনাপোল বন্দরে আসা-যাওয়া করে। চীনের করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বিস্তাররোধে প্রতিবেশি ভারত সরকার ইতোমধ্যে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য ও পাসপোর্টধারী যাত্রী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তবে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি না হওয়ায় বেনাপোল বন্দরে পণ্য খালাস কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। এ ছাড়া ভারত থেকেও ফিরছেন বাংলাদেশি যাত্রীরা।