বরগুনার আমতলী থানা হাজতে হত্যা মামলার আসামি সন্দেহে গ্রেফতার শানু হাওলাদার নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে পরিবারের দাবি পুলিশ পিটিয়ে হত্যা করেছে শানুকে। এ ঘটনায় ওসি তদন্ত মনোরঞ্জন মিস্ত্রি ও ডিউটি অফিসার এস আই আরিফকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে জেলা পুলিশ সুপার ।
বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) ভোর রাতে থানা হাজতে শানু হাওলাদারের মৃত্যু হয়। পুলিশের দাবি শানু আত্মহত্যা করেছে হাজত খানার ভিতরে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, একটি হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামী হিসেবে গত ২২ মার্চ আমতলী থানা পুলিশ শানুকে আটক করেন। পরে আজ সকালে পরিবারকে খবর দেওয়া হয় যে শানু আত্মহত্যা করেছে ।
এদিকে এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমেদকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল বাশার বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমাদের হাজতখানার টয়লেট একটু খারাপ থাকার কারণে আসামি শানুকে বাইরের টয়লেটে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে সে রশি নিয়ে আসে। পরে হাজতখানায় এসে রাতে আত্মহত্যা করে। তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়নি।