সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। সেই সাথে বাড়ছে আতঙ্ক। ইতিমধ্যে বাংলাদেশে ৪৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। দিনের পর দিন দেশে বেড়েই চলছে এর আতঙ্ক।
ঠিক এমনি আতঙ্কে ধীরে ধীরে ফাঁকা হতে শুরু করেছে উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের সড়কগুলো। কমে আসছে সড়কে মানুষের চলাফেরা। এতে করে বিপাকে পড়ছেন দিনমজুর। কি করবেন এমনি চিন্তায় যেন মাথায় হাত তাদের।
বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন জনসমাগম এলাকাগুলো নির্জন হয়ে গেছে। অধিকাংশ রাস্তাই যেন প্রায় জনশূন্য। দাঁড়িয়ে রয়েছে গুটি কয়েক রিকশাচালক। বন্ধ রয়েছে সকল দোকানপাট। দেখে যেন মনে হচ্ছে মানুষ নিজেই নিজেদের করেছেন লকডাউন।
অপরদিকে এই ভাইরাসের সংক্রামণ এড়াতে ঠাকুরগাঁওয়ে জোরদার করা হয়েছে সেনাবাহিনীর টহল। বিদেশ ফেরত প্রবাসীদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করার পাশাপাশি একসঙ্গে একাধিক ব্যক্তি চলাচল, বাজার মনিটরিং সহ সকল দিকেই নজর রাখছেন তারা।
শহরের চৌরাস্তা মোড়ে কথা হয় রিকশা চালক জয়নালের সাথে। সকলকে ঘরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে আপনি কেন বাহিরে এমনি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রিকাশা না চালাইলে কিভাবে চলবো। খাবার পাবো কিভাবে। আমরা দিনমজুর দিনে আনি দিনে খাই। আজ রাস্তায় লোক নেই, তাই আমাদের ভাড়াও নেই তেমন। কিভাবে কি করবো একমাত্র উপর আল্লাহ যানে।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম বার্তা২৪-কে জানান, ইতোমধ্যে আমাদের জেলার অনেক মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না।