নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন জায়গায় একসাথে আজান দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) রাতে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় রাত ১০টা বাজার সাথে সাথে আজান দেয়া শুরু হয়। রাত প্রায় ১১ টা পর্যন্ত চলে জেলার বিভিন্ন উপজেলার মসজিদ ও বাড়িতে আজান দেয়া।
জানা যায়, চট্টগ্রামের মাওলানা আবুল কাশেম মো. ফজলুল হক হুজুর করোনা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আজান দিতে বলেন। এরপর বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বিকাল পর্যন্ত ফেসবুকে রাত ১০ টায় একসাথে আজান দেয়ার জন্য একটি স্ট্যাটাস ভাইরাল হতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় রাত ১০ টায় জেলার বিভিন্ন উপজেলায় থাকা সুন্নি মতাদর্শের অনুসারিরা বিভিন্ন মসজিদে ও বাসায় আজান দিতে থাকেন। আজান চলে রাত প্রায় ১১ টা পর্যন্ত।
বালা মুসিবত থেকে মুক্তির জন্য বিষয়টিকে অনেকেই ভালভাবেই দেখছেন। এর আগে স্পেনে ২১ মার্চ করোনাভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর রহমত কামনায় সম্মিলিতভাবে একই সময়ে আজান দেয়া হয়।
এই বিষয়ে ইসলামী ফাউন্ডেশন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপপরিচালক মো. শাহ আলম বার্তা২৪.কমকে জানান, চট্টগ্রামের মাওলানা আবুল কাশেম মো. ফজলুল হক হুজুর করোনা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আজান দিতে বলেছেন বলে শুনতে পাই। এই কারণেই বিভিন্ন মসজিদে আজান হয়েছে। তবে বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত নই।