নাটোরের সিংড়ায় গণপরিবহন চলাচল না করায় হঠাৎ করেই ৪০ টাকা হালি হাঁসের ডিম ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে চলনবিল এলাকার প্রায় শতাধিক হাঁসের খামার মালিক হুমকির মুখে পড়েছেন। প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ ডিম নিয়ে আড়তদাররা বিপাকে পড়েছেন। জীবনযাত্রা স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তাদের লোকসান গুনতে হবে এমন শংকায় রয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) বিকেলে সিংড়ার চলনবিল গেট এলাকায় ডিমের আড়ত ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
জানা যায়, বেশ কয়েক বছর ধরে চলনবিল অধ্যুষিত সিংড়ায় শতাধিক হাঁসের খামার গড়ে উঠেছে। এসব খামার করে প্রায় প্রত্যেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। এসব খামারের ডিম স্থানীয় চলনবিল গেট হাটে বিক্রির জন্য আনা হয়। সপ্তাহে সোম ও বৃহস্পতিবার এই দু’দিন হাট বসে। প্রতি হাটেই প্রতি হালি হাঁসের ডিম ৪০ থেকে ৫০টাকায় বিক্রয় হয়। কিন্তু করোনার কারণে যানবাহন বন্ধ হওয়াসহ জনসমাগম হ্রাসে আড়তে ক্রেতার দেখা মিলছে না।
খামার মালিক হযরত আলী বলেন, করোনার কারণে যানবাহন বন্ধ। তাই ক্রেতা না থাকায় তাদের অর্ধেক দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। গত ২/৩ দিন ধরে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
তোজাম আলী নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, হাটে পাইকার আসেনি। ক্রেতাও নাই। আড়ত থেকে আমরা যে পরিমাণ ডিম কিনেছি, তা নিয়েই বসে রয়েছি।
চলনবিল ডিমের আড়তের মালিক আব্দুল ওয়াহাব বলেন, যেসব পাইকারী ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা সদরের হাটবাজারগুলোতে ডিম নিয়ে যান, সেসব পাইকারী ক্রেতারা গণপরিবহনের কারণে হাটে আসতে পারছেন না। ফলে হাঁসের ডিমের বাজারে এই ধস নেমেছে। এতে খামার মালিকদের অর্ধেক দামে ডিম বিক্রয় করতে হচ্ছে।