কাজে না আসলে বাড়িতে চুলো জ্বলে না। ছেলে-মেয়ে না খেয়ে থাকে। করোনাভাইরাস সম্পর্কে আমরা জানি। এই রোগে মানুষ মারা যায় তাও জানি। তারপরেও মালিকের ফসল রক্ষা এবং নিজেদের বেঁচে থাকার জন্যই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজে এসেছি। কথাগুলো বললেন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার করপাড়া গ্রামের বিলে চিনাবাদামের জমিতে কাজ করতে আসা দিনমজুর সঞ্জিত সরকার।
শুধু সঞ্জিত সরকারই নয়, এখানে কাজে আসা দিনমজুর রেনুকা সরকার, ভানু কির্ত্তনীয়া, শীলা দত্ত, দাউদ মোল্লা, নাছি খানম, মমতাজ বেগমসহ আরো অনেকে একই কথা বললেন।
তাদের বক্তব্য, করোনা সম্পর্কে তারা জেনেছে। এটি একটি ছোঁয়াচে ভাইরাস দশ জনের কাছ থেকে তাও শুনেছে। কিন্তু পেটের দায়ে কাজে বের হতে হচ্ছে তাদের।
শুধু করপাড়ার এই বিলেই নয় জেলার সকল বিল এলাকায় কাজে ব্যস্ত দিনমজুররা । কোনো ধরনের সচেতনতা ছাড়াই চলছে এইসব লোকের জীবন সংগ্রাম।
এদিকে, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস রোধে সকল শ্রেণি পেশার লোকজনকে ঘরে থাকার সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। তবে, সচেতনতার অভাব, পারিবারিক আর্থিক অভাবের কারণে গ্রামাঞ্চলে এসব নিয়ম কানুনের মানছেনা অনেকেই। অনেকটা স্বাভাবিক গতিতেই চলছে গ্রামাঞ্চল। করোনা গ্রামাঞ্চলে ছড়ালে মহামারি দেখা দিবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদের জানান, 'আমরা জনগণকে সচেতন করতে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের স্বাস্থ্য কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরামর্শ দিচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, সদস্য, ইউপি মহল্লাদাররাও গ্রামাঞ্চলে কাজ করে যাচ্ছে। তারপরও পুরোপুরি আমরা মানুষকে ঘরে রাখতে পারছি এমনটি নয়। তবে সেনাবাহিনী পুরোপুরি মাঠে কাজ করে যাচ্ছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা এই দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে পারি।