প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রভাবে এবার বন্ধ হয়ে গেছে কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত বেশিরভাগ স্থানীয় পত্রিকা। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে পত্রিকাগুলোর প্রকাশনা সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে। তবে দুই/একটি পত্রিকা বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমে তাদের প্রকাশনা অব্যাহত রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে কুমিল্লার প্রায় সব ক'টি ছাপাখানা-পজেটিভ মেশিনসহ পত্রিকা প্রকাশের অন্যান্য ধাপে জড়িত কারিগররা বাড়িতে অবস্থান করছেন। এই কারণে কুমিল্লার অধিকাংশ স্থানীয় দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকার প্রকাশনা সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে।
কুমিল্লা অন্যতম প্রাচীণ পত্রিকা দৈনিক রুপসী বাংলার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আসিফ তরুণাভ জানিয়েছেন, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মরণব্যাধি করোনাভাইরাস সতর্কতার অংশ হিসাবে এবং পত্রিকার কর্মকর্তা , সাংবাদিক , কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করে দৈনিক রূপসী বাংলার প্রকাশনা ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে । ৫ এপ্রিল থেকে দৈনিক রূপসী বাংলা পুনরায় নিয়মিত প্রকাশিত হবে।
কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক শিরোনামের প্রকাশনাও বন্ধ করা হয়েছে। শিরোনামের বার্তা সম্পাদক সাইয়্যিদ মাহমুদ পারভেজ জানান, আমাদের পত্রিকার সাথে সংশ্লিষ্ট সবার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত আমাদের প্রকাশনা বন্ধ রেখেছি।
একই কথা জানিয়েছেন কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত দৈনিক ডাক প্রতিদিন, বাংলার আলোড়ন, কুমিল্লার আলোসহ অন্যান্য পত্রিকাগুলোর সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে, পাঠকের কাছে নিজেদের দায়বদ্ধতার কথা স্বীকার করে বিশেষ ব্যবস্থায় পত্রিকার প্রকাশনা চালু রাখার ঘোষণা দিয়েছেন দৈনিক আমাদের কুমিল্লা'র ব্যবস্থাপনা সম্পাদক শাহাজাদা এমরান।
তিনি জানান, আমরা পত্রিকার সাথে সংশ্লিষ্ট সংবাদকর্মী-অফিস স্টাফসহ হকারদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করে বিশেষ ব্যবস্থায় পত্রিকার প্রকাশনা চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা মনে করি এই মুহূর্তে পত্রিকা চালু রাখা প্রয়োজন। নয়তো অহেতুক গুজব ছড়িয়ে ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। দৈনিক আমাদের কুমিল্লা সকলের কাছে সবোর্চ্চ বিশ্বাসযোগ্য খবরটি পৌঁছে দিতে সব সময় বদ্ধপরিকর।
অপরদিকে, দৈনিক কুমিল্লার কাগজের উপসম্পাদক জহির শান্ত জানান, গত ১৫ বছরের মধ্যে কঠিন এক সময়ে উপনীত হয়েছে কুমিল্লার কাগজ। এই মুহূর্তে পত্রিকার প্রকাশনা অব্যাহত রাখা অনেক চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি বিশেষ ব্যবস্থায় পত্রিকার প্রকাশনা অব্যাহত রাখতে।