করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের চাহিদা ও দাম বেড়েছে কয়েকগুণ। ফলে ময়মনসিংহের গৌরীপুরের দরিদ্র ও অসহায় শ্রমজীবী মানুষ মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার কিনে ব্যবহার করার সাধ্য ছিল না। এজন্য প্রথম থেকেই স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছেন তারা।
এখন থেকে শ্রমজীবী মানুষেরা গৌরীপুরের নির্দিষ্ট কিছু ফার্মেসিতে যোগাযোগ করলেই বিনামূল্যে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার পাবেন। বিনামূল্যে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণের এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগটি নিয়েছেন ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ ও গৌরীপুর বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী কমিটি।
শনিবার (২৮ মার্চ) রাত ১০টায় পৌর শহরের সোমা ফার্মেসিতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার সরবরাহের মধ্য দিয়ে বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন জেলা পরিষদ সদস্য এইচএম খায়রুল বাসার। এরপর উপজেলা ও পৌর শহরের অন্যান্য প্রায় ৩০টি ফার্মেসিতে ভলান্টিয়ারের মাধ্যমে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার সরবরাহ করা হয়।
বিনামূল্যে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণের খবর ছড়িয়ে পড়লে রাতেই শহরের ফার্মেসিতে ভিড় করে দরিদ্র ও অসহায় শ্রমজীবী মানুষেরা। এতে অধিকাংশ ফার্মেসিতে মুহূর্তেই শেষ হয়ে যায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার।
জেলা পরিষদ সদস্য এইচএম খায়রুল বাসার করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ফার্মেসিগুলোর মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে ১ হাজার হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও ১ হাজার মাস্ক বিনামূল্যে বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছেন। ফার্মেসিগুলোতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, দরিদ্র ও শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে বিনামূল্যে হ্যান্ডস্যানিটাইজার বিতরণ করা হবে।
হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব নাজমুল হাসান ডালাছ, পৌর তাঁতীলীগের আহ্বায়ক যোবায়ের হোসেন সোহান প্রমুখ।