টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে সাপ্তাহিক ও দৈনিক হাট-বাজারগুলোতে মানুষের সরব উপস্থিতি দেখা গেছে। এছাড়া করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখছে না তারা।
যদিও উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পুলিশ প্রশাসন প্রতিনিয়ত গ্রাম পর্যায়ের হাট-বাজারগুলোতে গিয়ে মানুষকে সচেতন করতে নিয়মিত প্রচারণাসহ অপ্রয়োজনে বাইরে বের না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে। এ নিয়ে চালানো হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের প্রচারণা। তারপরও গ্রাম পর্যায়ের এসব মানুষজন হাট-বাজারগুলো সমবেত হচ্ছেন।
জানা গেছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকার সারাদেশে ১০ দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। এতে মানুষজন শহর ছেড়ে গ্রামে আসেন। কিন্তু নির্দেশনা অনুযায়ী গ্রামে এসে বাড়িতে সঙ্গরোধ না মেনে হাট-বাজারগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন। মানছেন না সামাজিক দূরত্বও।
রোববার (২৯ মার্চ) উপজেলার গোবিন্দাসী হাটে গিয়ে মানুষের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। সামাজিক দূরত্ব না মেনেই কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। এছাড়া বামনহাটা, গাবসারা হাট, অজুর্নার গোবিন্দপুর, নিকরাইল ও পৌরসভার শিয়ালকোল হাটে মানুষের উপস্থিতি দেখা গেছে। তবে প্রশাসন ওইসব হাট-বাজারগুলো অভিযান চালালেও পরে পুনরায় আবার মানুষ চলে আসে বাজারে।
এলাকার সচেতনমহল বলছেন, লকডাউন করা ছাড়া মানুষের সমাগম বন্ধ করা সম্ভব নয়। এছাড়া হাট বন্ধ করে দিলে মানুষ আসবে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. নাসরীন পারভীন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘হাট বাজার বন্ধে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। তবে বাজার কমিটি এবং ইউপি চেয়ারম্যানদের অসহযোগিতার কারণে শত ভাগ সফলতা আসেনি।’