করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এর কারণে সারাবিশ্ব আতঙ্কিত। বাংলাদেশেও করোনায় ৪৮ জন আক্রান্ত ও এ পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে আইইডিসিআর। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
রাঙামাটি শহরজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। মানুষ এখন আগের চেয়ে সচেতন। দশ দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা করায় খেটে খাওয়া মানুষেরা পড়েছেন বিপাকে। প্রশাসনের থেকে যে সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে তা প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্তই স্বল্প। এ চরম দুর্যোগে থেমে নেই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো। রাঙামাটিতে এ সংকটকালে মাঠে নেমেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা।
জাতীয় স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সংগঠন পার্বত্যাঞ্চলের সর্বপ্রথম অনলাইন ব্লাড ব্যাংক জীবন ও সহযোগী সংগঠন অপরাজিতার উদ্যোগে রাঙামাটি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে আজ প্রাথমিকভাবে হস্তান্তর করা হয় ৩৫০০ মি.লি. হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ১০০ তিন স্তরবিশিষ্ট পুনঃব্যবহারযোগ্য মাস্ক, ২টি ব্লাড প্রেসার নির্ণায়ক মেশিন, ১০০ পিস হ্যান্ড গ্লাভস, ১ বক্স সাবান, লিকুইড হ্যান্ড ওয়াস ও রিফিল প্যাক, ২টি স্টেথোস্কোপ যা সরাসরি করোনা রোগীদের চিকিৎসা কাজে নিয়োজিত চিকিৎসকের জন্য প্রয়োজন।
জীবনের সহ-সভাপতি ইউনুছ সুমন বলেন, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই দেশের এ ক্রান্তিলগ্নে আমরা এগিয়ে এসেছি। জীবন-এর পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে বেশকিছু সরঞ্জাম আমরা হস্তান্তর করেছি। আমাদের ইচ্ছা আছে ভবিষ্যতে আরো সহযোগিতা করার।
অপরাজিতার সভাপতি সাইদা জান্নাত বলেন, অপরাজিতা সদ্য প্রতিষ্ঠিত একটি সংগঠন হওয়া সত্ত্বেও আমরা আমাদের অবস্থান থেকে এগিয়ে এসেছি। ইতোপূর্বে আমরা রাঙামাটির বিভিন্ন দুর্গম এলাকায় ডিগনিটি বক্স পাঠিয়েছি এবং এসময়ে আমরা মাস্ক তৈরি করে স্বাস্থ্য বিভাগকে হস্তান্তর করেছি যাতে চিকিৎসকদের কাজে কিছুটা হলেও সহযোগিতা হয়।
এসব সরঞ্জামাদি হস্তান্তর পর্বে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি জেলার সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা ও মেডিকেল অফিসার ডা. মোস্তফা কামাল। সিভিল সার্জন তরুণদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এবং এই প্রচেষ্টা অব্যহত রাখতে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেছেন।
ডা. মোস্তফা কামাল অপরাজিতার অনলাইন সচেতনতা কার্যক্রমের প্রশংসা করেন। এছাড়াও জীবন এর সহযোগিতায় ১৫টি অসহায় পরিবারের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী প্রদানের জন্য সহযোগিতার আশ্বাস দেন।