নাছিমা জামান ববি। রংপুর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। রংপুরের আট উপজেলার চেয়ারম্যানদের মধ্যে তিনিই একমাত্র নারী জনপ্রতিনিধি। একবার নয় চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি তৃতীয়বারের মতো দায়িত্ব পালন করছেন। বরাবরই জনগণের পাশে ছিলেন বলেই ভোটযুদ্ধে জয়ের মালা গলায় উঠেছে তার।
জনগণের বিপদে সব সময় পাশে থাকা এই চেয়ারম্যান এবার করোনাভাইরাস নিয়ে এলাকায় ব্যাপক কাজ করছেন। জনসচেতনতার জন্য রাত দিন কাজ করছেন। মানুষকে বোঝানোর পাশাপাশি নিজ হাতেই এলাকাগুলোতে ওষুধ ছিটাচ্ছেন।
প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রংপুর সদর উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নে ছুটে বেড়াচ্ছেন। কখনো নিজের কাঁধে মেশিন বক্স সেট করে হাটে-বাজারে ছিটাচ্ছেন জীবাণুনাশক ওষুধ। গ্রামের পর গ্রাম হেঁটে হেঁটে সাধারণ মানুষকে দিচ্ছেন ফেস মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার। বিভিন্ন এলাকাতে স্থাপন করেছেন হ্যান্ডওয়াশ কর্নার।
গ্রামের পাড়া-মহল্লা, হাট-বাজারে গিয়ে গিয়ে সাধারণ মানুষকে ঘরে থাকতে পরামর্শ দেওয়ার সাথে সাথে খোঁজ রাখছেন অসহায় দুস্থ মানুষদেরও। কখনো ব্যক্তিগত তহবিল, কখনো পরিষদ থেকে বিতরণ করছেন খাবার সামগ্রী। বর্তমান পরিস্থিতিতে যেখানে জটলা বা জমায়েতের খবর কানে আসে, তাৎক্ষণিক সেখানেই ছুটে যান তিনি। সেটা হোক দিন কিংবা রাত।
এই আত্মবিশ্বাসী চেয়ারম্যান একা ছুটতে চাইলেও তার ভালোবাসার সঙ্গী কম নয়। যেখানেই যান ছুটে আসে লোকজন। কিন্তু করোনা সংক্রমণ রোধে এখান সবাইকে সঙ্গরোধে থাকতে বিনয়ী অনুরোধ করছেন তিনি। সরকারি নির্দেশনা মেনে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে করনীয় তথ্য নিজেই মাইকিং করছেন।
রোববার (২৯ মার্চ) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে তিনি সকল হাট-বাজার ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জীবাণুনাশক ওষুধ ছিটিয়েছেন।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান নাছিমা জামান ববি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, যা করছি এটা আমার দায়িত্ব। দেশের মানুষকে সুস্থ, ভালো রাখতে এই দুর্যোগ মূহুর্তে আমার পাশে অন্যরাও আছে। সবাইকে নিয়ে করোনা মোকাবিলায় যেভাবে কাজ করছি, ইন শা আল্লাহ এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধ করা সম্ভব হবে।
এ সময় এই চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুযায়ী প্রত্যেক জনপ্রতিনিধিকে দেশের দুর্যোগময় এই মূহুর্তে জনগণকে সচেতন করতে এবং তাদের পাশে থাকতে আহ্বান জানান।