ময়মনসিংহের গৌরীপুরে রেললাইনের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া মেয়ে শিশুর মরদেহের পরিচয় মিলেছে।
শিশুটির নাম জান্নাতুল আক্তার জান্নাত (২)। সে উপজেলার ২ নং গৌরীপুর ইউনিয়নের কোনাপাড়া গ্রামের বাবুল মিয়ার সপ্তম স্ত্রী রেজিয়া খাতুনের মেয়ে।
কোনাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা জামাল উদ্দিনের স্ত্রী ফিরোজা বেগম ছবি দেখে শিশুটির পরিচয় নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আমার ভাই বাবুল মিয়ার স্ত্রী রেজিয়া খাতুনের মেয়ে জান্নাত। আমার ভাই একাধিক বিয়ে করছেন। ৬/৭ মাস আগে পরকীয়ার টানে রেজিয়া খাতুন নামে এক মহিলাকে সন্তানসহ (জান্নাত) বিয়ে করেন আমার ভাই। তবে জান্নাতের মরদেহ উদ্ধারের পর থেকে তারা দুজন পলাতক রয়েছেন।
এর আগে (১৯ মার্চ) সকালে গৌরীপুর-ভৈরব রেলপথের ২ নং রেলওয়ে গেট এলাকা থেকে কাপড়ে মোড়ানো অজ্ঞাত এক মেয়ে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষে শিশুর মরদেহ গৌরীপুর পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় গৌরীপুর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়।
কোনাপাড়া গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, রেজিয়ার বাড়ি ময়মনসিংহ হলেও তার সঠিক ঠিকানা কেউ জানে না। রেজিয়া বাবুলের সপ্তম স্ত্রী। ৩ মাস পূর্বে শিশু জান্নাতকে নিয়ে রেজিয়া কোনাপাড়া গ্রামে এসে স্বামীর সাথে থাকতেন। গ্রামবাসীর ধারণা রেজিয়ার সন্তান জান্নাতকে নিয়ে বাবুলের নতুন সংসারে সমস্যার কারণে তাকে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রাখা হয়েছে।
সোমবার (৩০ মার্চ) দুপুরে গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, মরদেহের পরিচয়সহ কিছু তথ্য উপাত্ত পাওয়া গেছে। পুলিশ ঘটনা তদন্ত করছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে তথ্য জানানো সম্ভব হচ্ছে না। আর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: গৌরীপুরে অজ্ঞাত শিশুর মরদেহ উদ্ধার