মৌলভীবাজারে নিম্ন আয়ের মানুষ ও অতি দরিদ্র মানুষদের জন্য সরকারের খাদ্য বিভাগের কম দামে আটা ও চাল বিক্রি কাযর্ক্রম চলছে।
জেলা খাদ্য অফিস জানায়, মৌলভীবাজার পৌরসভা এলাকায় নয়টি ওয়ার্ডে ৯ জন ডিলারের মাধ্যমে ১৮ টাকা কেজি দরে আটা বিক্রি চলছে। প্রতিদিন পাঁচজন ডিলার ৫ টন আটা বিক্রি করছেন। আর ইউনিয়ন পর্যায়ে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি করতে জেলায় ১২০ জন ডিলার রয়েছেন।
সোমবার (৩০ মার্চ) মৌলভীবাজার পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডে মের্সাস নজরুল এন্ড ব্রার্দাসে ১৮ টাকা কেজি দরে আটা ক্রয় করতে মানুষের লাইন পড়ে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কম দামে আটা ক্রয় করছেন ক্রেতারা।
১ নং ওয়ার্ডের ডিলার বদরুল ইসলাম বলেন, সপ্তাহে তিনদিন ৩ টন আটা বরাদ্দ পাই। আটার মান ভালো হওয়ায় মানুষের সাড়া পাচ্ছি। একজন ক্রেতা ৫ কেজি নিতে পারেন।
ক্রেতা সিরাজ মিয়া বলেন এখন রোজগার নাই, এই সময়ে বাজার থেকে অর্ধেক দামে আটা পাওয়ায় আমরা খুশি।
এদিকে রাজনগর ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নকুল দাশ বলেন, ফতেপুর ইউনিয়নে অতি দরিদ্র ৬শ ৮০ জন কার্ডধারী মানুষ ১০ টাকা কেজি দরে চাল ক্রয় করার সুযোগ পাচ্ছেন। তারা মাসে ৩০ কেজি চাল পাচ্ছেন।
জেলা খাদ্য কর্মকর্তা বিপ্লব চন্দ্র দাস বলেন, অসহায় খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষদের সুবিধায় কম দামে আটা বিক্রি চলছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলমান থাকবে। আর জেলার ৬৭টি ইউনিয়নে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি কার্যক্রম চলমান আছে। একজন কার্ডধারী ব্যক্তি মাসে ৩০ কেজি চাল পাবেন। মাচ মাসে দেওয়া হয়েছে। এপ্রিল মাসে দেওয়া হবে। জেলায় ৪৩ হাজার ৩শ ৭০ জন হত দরিদ্র মানুষ এই সুযোগ পাচ্ছেন। অন্য বছর ৫ মাস দেওয়া হতো। এবার সময় বাড়ানো হতে পারে।