মহামারি করোনা ভাইরাসে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা কম হলেও দেশজুড়ে যেন চলছে অঘোষিত লকডাউন। ঝিনাইদহেও এর ব্যতিক্রম নয়। বন্ধ রয়েছে জেলার সব ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান, দোকান পাট।
আর সর্বস্তরের মানুষকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে এবং করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে মাঠে নেমেছে প্রশাসন, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। এই সুযোগে করোনাকে পুঁজি করে সক্রিয় হয়ে উঠেছে মাদক ব্যবসায়ীরা। প্রায় প্রতিদিনই বিজিবি, র্যাব ও পুলিশের হাতে আসা মাদকসহ ধরা পড়ছে ব্যবসায়ীরা।
র্যাব জানায়, গত শনিবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর উপজেলার সরকারি ভেটেরিনারি কলেজের সামনে থেকে ৫১৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। সেই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় ফরিদপুরের বোয়ালমারি উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের সমশের মাতুব্বরের ছেলে সুন্নাহ ও একই গ্রামের মোক্তার মোল্লার ছেলে জিন্নাত মোল্লাকে। তারা দর্শনা সীমান্ত থেকে মাদক নিয়ে ফরিদপুর যাচ্ছিল।
একই সঙ্গে থেমে নেই ভারত সীমান্তবর্তী উপজেলা মহেশপুরের মাদক ব্যবসায়ীরা।
বিজিবির খালিশপুর ৫৮ ব্যাটালিয়নের দেয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায়, গত ২১ মার্চ দর্শনার হাফিজুর রহমানকে ২০ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করে বিজিবি। একই দিন দর্শনা থানাধীন পারকৃষ্ণপুর মাঠ থেকে ৪৭ বোতল মদ ও ৮৩ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে বিজিবি।
২৭ মার্চ মহেশপুরের পলিয়ানপুর মাঠ থেকে ৫৮ বোতল ও চুয়াডাঙ্গার আকন্দবাড়িয়া গ্রামের মাঠ থেকে ২৬ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে বিজিবি।
গত ২৮ মার্চ উথলী বিওপির টহল দল জীবননগর উপজেলার সন্তোষপুর মাঠ থেকে ৪৮ বোতল ফেনসিডিলসহ ইমরান হোসেন পিন্টু নামে এক মাদক পাচারকারীকে আটক করে। তবে এর বাইরেও থেকে যাচ্ছে অনেক মাদক ব্যবসায়ী।
এলাকার সচেতন মহল বলছে, র্যাব, বিজিবি বা পুলিশের হাতে যে পরিমাণ মাদক ধরা পড়ছে তার থেকে বেশি অধরা থেকে যাচ্ছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে মাদকের চোরাচালান রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান চালানো উচিত।
এ ব্যাপারে বিজিবির খালিশপুর-৫৮ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল কামরুল আহসান জানান, মাদক ব্যবসায়ীদের করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ভয় নেই। তারা করোনার এই সময়ে সুযোগ নিচ্ছে। মাদক চোরাচালান বন্ধে সীমান্তে বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।