বিশ্বে এখন সবচেয়ে আলোচিত ও আতঙ্কের নাম করোনাভাইরাস। প্রাণঘাতী এই মহামারি থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে সবাই যে যার মতো সাবধানতা অবলম্বন করছে।
করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে বাংলাদেশ সরকার বেশ কিছু সচেতনতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। প্রথম দিকে শহরের মানুষগুলো কিছুটা মানলেও গ্রামের মানুষ তেমন একটা পাত্তাই দেয়নি। অন্ধকার আর কুসংস্কারে তারা ছিল নিমজ্জিত।
কিন্তু সময় যত গড়াচ্ছে ততই করোনার প্রভাব বেড়েই চলছে। করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা, রক্ষা ও পরিণতি সম্পর্কে মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচারের ফলে এখন গ্রামের মানুষও যথেষ্ট সচেতন হয়েছেন।
ঘনঘন হাত ধোয়া, জনসমাগম এড়িয়ে চলা, টিউবওয়েলের কাছে সাবান রেখে দেওয়া, জীবাণুনাশক ছিটানোসহ বিভিন্ন বিষয়ে এখন তারা বেশ সচেতন। এর প্রমাণও মেলে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে গিয়ে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য জিল্লুল হাকিমের উদ্যোগে করোনার প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া দুস্থ ও অসহায় মানুষদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। সেখানে যারা এসেছে তারা সবাই হাত ধুয়ে প্রবেশ করছে।
এ সময় কথা হয় খাদ্য সামগ্রী নিতে আসা বেরুলি গ্রামের বৃদ্ধ আছমত মোল্লা (৬৫) ও ফুলমতি নামের এক নারীর সঙ্গে। তারা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘বাবা বাইরে থেকে এসেছি। তাই হাতটা ধুয়ে একটু পরিষ্কার হয়ে নিলাম। বলাতো যায় না আল্লাহ না করুক যদি করোনায় আক্রান্ত হই তাহলে তো আর রক্ষা নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘টিভিতে দেখেছি ঘনঘন সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়া ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলে নাকি করোনা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। তাই আমরা যতটুকু সম্ভব কষ্ট হলেও পরিষ্কার থাকার চেষ্টা করছি।’
এদিকে, বালিয়াকান্দির সদর ইউনিয়নের পাইককান্দি গ্রামে বিভিন্ন বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, টিউবওয়েলের কাছে হাত ধোয়ার জন্য সাবান রেখে দিয়েছে এলাকাবাসী। বাড়ি জীবাণুমুক্ত রাখার জন্য নিয়মিত ব্লিসিং পাউডার দিয়ে স্প্রে করছেন তারা।