গাজীপুরের কাপাসিয়ার পাবুর ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে ১৪ দিন সঙ্গরোধে (কোয়ারেন্টিন) থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন আরও সাত ইতালি প্রবাসী।
বুধবার (১ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে ছাড়পত্র ও স্বাস্থ্য সনদ নিয়ে বাড়ি ফেরা এ সাতজন মোট ১৮ দিন সঙ্গরোধে ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইসমত আরা বার্তা২৪.কমকে জানান, দু’টি প্রাইভেটকার, একটি অ্যাম্বুলেন্স ও একটি অটোরিকশায় করে তাদের বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি।
তিনি আরও বলেন, এ কেন্দ্রে নয়জন প্রাতিষ্ঠানিক সঙ্গরোধে (কোয়ারেন্টাইন) ছিলেন। বুধবার তাদের মধ্যে সাতজন প্রবাসীকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বাকি দু’জনকে চার এপ্রিল ছাড়পত্র দেওয়া হবে।
এর আগে গত ৩০ মার্চ গাজীপুরের পূবাইলের মেঘডুবি মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রে ১৬ দিন সঙ্গরোধে থাকার পর ৩৬ ইতালি প্রবাসী ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফেরেন।
গত ১৪ মার্চ ইতালি ফেরত ৪৪ জনকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মেঘডুবি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আনা হয়েছিল। ১৫ ও ১৬ মার্চ শরীরে জ্বর থাকায় তাদের মধ্যে আটজনকে উত্তরার কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে একজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর গত ১৮ মার্চ মধ্য রাতে কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল থেকে এ সাত প্রবাসীকে (বুধবার ছাড়পত্র পাওয়া) পাবুর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে আনা হয়েছিল।
পরে গত ২১ মার্চ পাবুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ঢুকে প্রবাসীদের সঙ্গে কথা বলায় ও ছবি তোলায় এক ফটো সাংবাদিককে এ কেন্দ্রেই ১৪ দিনের সঙ্গরোধে রাখা হয়। একই দিন অপর একজন বিদেশ ফেরত ব্যক্তিকে গ্রামের লোকজন বাড়িতে ঢুকতে না দেওয়ায় এ কেন্দ্রে আনা হয়েছিল।
এ নিয়ে ৪৪ ইতালি প্রবাসীর মধ্যে ৪৩ জনই সঙ্গরোধ সফলভাবে সম্পন্ন করে বাড়ি ফিরলেন। আর করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি উত্তরার কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুস সালাম সরকার বার্তা২৪.কমকে জানান, উপজেলায় বর্তমানে ২৪৭ জন বাড়িতে সঙ্গরোধে (হোম কোয়ারেন্টিন) রয়েছেন। আর এখন পর্যন্ত ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৪৪ জন।