বিশ্বজুড়ে আতংকের নাম করোনাভাইরাস (কোভিড ১৯)। এ ভাইরাস সংক্রমণের ভয়ে অনেকেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে যাচ্ছেন না। দিন দিন হাসপাতালের রোগীর সংখ্যাও কমে যাচ্ছে। এসব রোগীরা যাচ্ছেন প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রাথমিক সেবা প্রদানকারী কমিউনিটি ক্লিনিকে । আর ঝুঁকি হলেও কমিউনিটি ক্লিনিকের চিকিৎসকরা সেবা অব্যাহত রেখেছেন।
সরজমিনে লালমনিরহাটের ৫টি উপজেলায় দেখা গেছে, জ্বর, ঠাণ্ডা ও কাশি বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা এখন জীবন বাঁচাতে ভিড় করছেন গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিকে। প্রতিবেশীদের ফেরাতে ব্যর্থ হয়ে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন লালমনিরহাটের ১৭১জন সিএইচসিপি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাধারণ রোগীর ভিড় কমাতেও এসব ক্লিনিকে দেয়া হচ্ছে ২৮ ধরনের সরকারি ঔষধ।
সাপ্টিবাড়ি কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি রেজাউল করিম সোহাগ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, হাসপাতালে না গিয়ে রোগীরা এখন ক্লিনিকে ভিড় করছেন। ঝুঁকিপূর্ণ হলেও মাস্ক ব্যবহার করেই সেবা দিতে হচ্ছে।
শুধু ক্লিনিকে নয়, করোনা সংক্রমণ রোধে নিয়মিত সচেতনতা কার্যক্রম ও বাড়িতে সঙ্গরোধের রোগীদের দেখতে হয় আমাদের। তাই নিজেদের সুরক্ষার জন্য পিপিই প্রদানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশনের লালমনিরহাট জেলা সভাপতি আতাউর রহমান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, বেশিরভাগ রোগীরা হাসপাতাল ফেরত, আবার কেউ ভয়ে যাচ্ছেন। তাই বাধ্য হয়ে সিএইচসিপিরা সেবা প্রদান অব্যাহত রেখেছেন। তাই সারা দেশের সিএইচসিপিদের পিপিই প্রদান করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।