রাজবাড়ীতে অগ্নিদগ্ধ গোয়ালন্দ উপজেলা স্যানিটারি কর্মকর্তা মো. সাইফুর রহমান শামিমের রহস্যজনক মৃত্যুতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আসিফ মাহমুদ ও নিরাপত্তারক্ষী মো. তরিকুল ইসলামকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
বুধবার (১ এপ্রিল) দুপুরে নিহত সাইফুর রহমান শামিমের স্ত্রী গুলশান আরা বাদী হয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আশিকুর রহমান।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নিহত স্যানিটারি কর্মকর্তাকে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসিফ মাহমুদ। আর তার এই কাজে সহযোগিতা করেছে হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মী মো. তরিকুল ইসলাম। তাকে সুপরিকল্পিত হত্যা করে এই মৃত্যুকে আত্মহত্যা সহ বিভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে এরা।
মামলায় আরও অভিযোগ করেন, আমার স্বামীর মৃত্যুর পর আমরা ২৮ মার্চ তার কর্মস্থল ও অগ্নিদগ্ধরুমে যেতে চাইলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আমাদের বাঁধা দেন। এমনকি সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখতে চাইলে সে আমাদের ওপর চরম ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। আমার স্বামীর ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও আসবাবপত্রও সে আনতে দেয়নি।
তাছাড়া আমার স্বামী অগ্নিদগ্ধ হওয়ার পর তাকে উনারা দুজনই উদ্ধার করে আমাদেরকে সাথে সাথে না জানিয়ে তারা ঢাকা বার্ন ইউনিটে নিয়ে যান। যা কখনোই ভাবা যায়না।
আমার স্বামীকে দিয়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দুর্নীতি করাতে না পেরে সে বিভিন্ন সময়ে তাকে হুমকি দিয়েছেন। এমনকি তাকে সরানোর জন্য বদলিও করার চেষ্টা করেছে। নিরাপত্তীরক্ষী একজন সন্ত্রাসী। যা হাসপাতালের সবাই অবগত আছেন। তার সাথে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সুসম্পর্ক রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২৬ মার্চ সাড়ে ৩টার দিকে হাসপাতালের কোয়াটারের দ্বিতীয় তলার নিজ কক্ষে অগ্নিদগ্ধ হয় এই কর্মকর্তা। তখন অভিযুক্ত দুজন তাকে উদ্ধার করে ঢাকার বার্ন ইউনিটে ভর্তি করালে ২৭ মার্চ রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহত স্যানিটারি কর্মকর্তা ফরিদপুরের মধুখালির গোন্দারদিয়া গ্রামের বাসিন্দা।