গণমাধ্যমকর্মী ও সুশীল সমাজের জোর দাবির প্রেক্ষিতে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় সাংবাদিক নির্যাতনকারী নাবিল হায়দারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১ এপ্রিল) দুপুরে বোরহানউদ্দিন উপজেলার বাসভবন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নাবিল বোরহানউদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বড় মানিকা ইউপি চেয়ারম্যান জসিম হায়দারের পুত্র।
বোরহানউদ্দিন থানার ওসি এনামুল হক জানান, বুধবার দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেলুর রহমানের নেতৃত্বে বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে উপজেলা সড়কের বাসভবন থেকে তাকে গ্রেফতার করে ভোলা আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জেলেদের সরকারি সাহায্যের চাল চুরির অভিযোগ করায় ভোলায় সাংবাদিক সাগর চৌধুরীর ওপর হামলা চালায় বোরহানউদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বড় মানিকা ইউপি চেয়ারম্যান জসিম হায়দারের ছেলে নাবিল হায়দার । ক্ষোভ মেটাতে ওই সাংবাদিককে মোবাইল চোর ও ছিনতাইকারী অপবাদ দিয়ে পেটানো হয়। পরে নির্যাতনের ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এরপর ওই সাংবাদিকের বক্তব্যের একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) সকালে উপজেলা সদরের রাজমনি সিনেমা হলের সামনে নির্যাতনের এই ঘটনা ঘটে।
ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে সাগর চৌধুরী বলেন, আজ সকাল ৬ টায় (মঙ্গলবার) নাবিল আমাকে ফোন করে বলে আপনার সঙ্গে জরুরি কথা আছে একটু আসেন। তখন আমি বলি, এত সকালে আমি কীভাবে আসবো। তরপরও আমি সেখানে গেলে, সিনেমা হলের দোতলায় আমাকে ডেকে নেয় সে। আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করা হয়। তখন আমি দোতলা থেকে নিচের দিকে নেমে আসতে চাই। তখন সে পেছন থেকে আমার কলার চেপে ধরে এবং আঘাত করে। আমার চোখে আঘাত করে চোখ নষ্ট করে দেওয়ার জন্য। মাথার অনেক জায়গায় আঘাত করে। মাথাটা ফুলে গেছে। আমাকে মেরে ফেলার জন্য দুহাত দিয়ে গলা চেপে ধরে। এছাড়া শরীরের অনেক জায়গায় আঘাত করে সে। সাংবাদিক সাগর চৌধুরী স্থানীয় অনলাইন পোর্টাল ডব্লিউ ৩৬০ ডিগ্রির সম্পাদক ও প্রকাশক।
বোরহানউদ্দিন থানার ওসি এনামুল হক জানান, সাগর চৌধুরী বাদী হয়ে তাকে নির্যাতনের ঘটনায় মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টায় নাবিল হায়দারকে ১নং এবং অজ্ঞাত ৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছে। (মামলা নং ০১ তাং ০১/০৪/২০)।