সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে নির্যাতনের দায়ে হাইকোর্টের নির্দেশে কুড়িগ্রামের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) সুলতানা পারভীন, সিনিয়র সহকারী কমিশনার (রাজস্ব) নাজিম উদ্দিন, সহকারী কমিশনার রিন্টু বিকাশ চাকমা, সহকারী কমিশনার (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) এসএম রাহাতুল ইসলামসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে থানায় দায়ের করা এজাহারটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে।
বুধবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজার রহমান।
এর আগে গত ১৯ মার্চ কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় সাংবাদিক আরিফুল তার এক প্রতিনিধির মাধ্যমে জেলা সদর থানায় এজাহারটি জমা দেন। ২৫ মার্চ এজাহারটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ৩১ মার্চ রাতে এজাহারটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজার রহমান জানান, হাইকোর্টের আদেশের কপি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এজাহারটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। মামলাটি অধিকতর গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ গভীর রাতে ঢাকা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি আরিফুলকে তুলে নিয়ে প্রথমে ‘এনকাউন্টারের’ হুমকি দেয়া হয়। পরে তাকে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে বিবস্ত্র করে মারধরের পর ৪৫০ মিলিলিটার দেশি মদ ও ১০০ গ্রাম গাঁজা পাওয়ার নাটক সাজিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
এরপর ব্যাপক সমালোচনার মুখে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে রংপুরের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আবু তাহের মাসুদ বিষয়টির তদন্ত করেন। তদন্ত করার সময় তিনি দেখতে পান- জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে পুরো ঘটনা পরিকল্পিতভাবে করেছেন।
এ ঘটনায় ১৫ মার্চ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া এক প্রজ্ঞাপনে সাংবাদিক নির্যাতনের অপরাধে জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন এবং জেলা প্রশাসনের ৩ কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী কমিশনার নাজিম উদ্দিন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমা ও এস এম রাহাতুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করে।