সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ময়মনসিংহ গৌরীপুরে খোলা রাখা চায়ের দোকানগুলোতে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার (১ এপ্রিল) রাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সেজুতি ধর অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাথে পুলিশের টিম চায়ের দোকান বন্ধ করার পাশাপাশি দোকানে বসে আড্ডা দেওয়া লোকজনকে ধরতে গেলে সবাই পালিয়ে যায়।
জানা গেছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে ওষুধ, কাঁচাবাজার ও নিত্যেপ্রয়েজনীয় দোকান ছাড়া সকল দোকান-পাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু নিষেধ অমান্য করে গ্রামের বাজারের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী চায়ের দোকান খোলা রেখে জনসমাগম করে নির্বিঘ্নে ব্যবসায় চালাচ্ছিল। এমন খবরে উপজেলার গোবিন্দপুর, শ্যামগঞ্জ, ডেংগা, মনাটি, সতিষাসহ বিভিন্ন মোড়ের দোকানে অভিযান চালিয়ে দোকান বন্ধ করার পাশাপাশি আড্ডরত লোকজনকে ধাওয়া করে।
পরে দোকান খোলা রাখার দায়ে সাত ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। জরিমানা দেয়া ব্যবসায়ীরা হলেন- মো. বাবলু ৩ হাজার, মোঃ শফিকুলকে ২ হাজার, আব্দুছ ছালাম ১ হাজার, আজিজুল হক ১ হাজার, নুহাশ ২ হাজার, আবু সাইদ ৩ হাজার ও সাইফুল ইসলামকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাজারগুলোতে ঘুরে ঘুরে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে জনসাধারণকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করতে বলা হয়। পাশাপাশি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার নির্দেশ দেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সেজুতি ধর বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় মানুষকে সচেতন করতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন। রাতেও যাতে মানুষ রাস্তার মোড়ের চায়ের স্টলে আড্ডা, অযথা ঘোরাঘুরি করতে না পারে সে জন্য তাদের বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় সাত ব্যবসায়ীকে পনেরা হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।