করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হলেও চুয়াডাঙ্গার বেশিরভাগ এলাকায় এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করা হচ্ছে। সামাজিক দূরত্ব মানতে অনীহা দেখা গেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হলেও তার কর্ণপাত করছে না অধিকাংশ মানুষ। স্বাভাবিক দিনের মতো লোকসমাগম হচ্ছে গোটা জেলা শহরে। তবে জেলা প্রশাসকের দাবি, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে কাজ করছে প্রশাসন।
সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর রাস্তায় প্রথম তিনদিন সরকারের দেওয়া নির্দেশ মানলেও চতুর্থ দিন থেকে চুয়াডাঙ্গায় অধিকাংশ মানুষ মানছে না এসব নিয়মনীতি। যত্রতত্র একে অপরের সঙ্গে গাঁ ঘেঁষে চলাফেরা করছে দেদারসে। অনেকের মুখে নেই মাস্ক, হাতে নেই গ্লাভস।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘর থেকে রাস্তায় বের হচ্ছে মানুষ। অন্যান্য সাধারণ দিনের মতো সড়কে ছোট যানবাহনের চাপ চোখে পড়ার মতো। ছোট ছোট এসব যানবাহনের চাপ নিয়ন্ত্রণে মাঝে মাঝে হিমশিম খেতে হচ্ছে ট্রাফিক পুলিশকেও।
এদিকে করোনা সম্পর্কে অনেকের মধ্যে নেই সুস্পষ্ট ধারণা। সচেতনতার বালাই নেই তাদের মধ্যে। রাস্তায় বের হওয়ার পর মুখে মাস্ক না পড়ার নানা ধরনের অজুহাত দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
বড় বাজারে আড়ত পট্টিতে বাজার করতে আসা একজন নারীকে মাস্ক পড়ার কারণ জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, মাস্ক পড়ে থাকলে তার গরম লাগে। এজন্য তিনি বাড়িতে রেখে এসেছেন।
বাজারের কলা বিক্রেতা রহিম শেখ জানান, করোনা সম্পর্কে কিছুই জানেন না তিনি। সবাই বলছে মুখে মাস্ক পড়তে হবে। আমার মাস্ক নেই তাই মুখে গামছা বেঁধে রাখছি।
সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতসহ সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জেলা প্রশাসন। মাঠে রয়েছে সেনা সদস্যরাও। এছাড়া শহরে নিয়মিত ছেটানো হচ্ছে জীবাণুনাশক।
জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, জেলার চার উপজেলাতেই করোনা প্রতিরোধে প্রশাসন কাজ করছে। নিয়মিত বাজার মনিটরিং ও জীবাণুনাশক ছিটানো হচ্ছে। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে সাধারণ মানুষকে সচেতন হবার পরামর্শ দেন তিনি।
জেলার সুশীল সমাজ বলছে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে প্রশাসনের আরও কঠোর হতে হবে। নতুবা করোনার প্রভাব বাড়তে সময় লাগবে না।
চুয়াডাঙ্গা জেলায় একজন করোনা আক্রান্ত রোগী সদর হাসপাতালে আইসোলেশনে ১৫ দিন ভর্তি থাকার পর বুধবার তাকে ছাড়পত্র দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এছাড়া জেলায় সঙ্গরোধে রয়েছে প্রায় ৫শ মানুষ।