করোনাভাইরাস রোধে পঞ্চগড়ে চলছে অঘোষিত লকডাউন। জেলা প্রশাসন ৫ উপজেলার সব দোকানপাট, সাপ্তাহিক হাট, পশুর হাট এমনকি সংক্রমণ এড়াতে সড়কে যান চলাচল পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে। ফলে বিপাকে পড়েছে জেলার ৫ উপজেলার নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষরা।
বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) পঞ্চগড় শহরের শেরেবাংলা চত্বরের সামনে ত্রাণ পাওয়ার আশায় কিছু দুস্থকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
তেঁতুলিয়া উপজেলা থেকে আসা দিনমজুর আইজুল হক বলেন, ‘গ্রামে কোনো কাজ করতে পারি না। শুনেছি শহরে নাকি আমাদের মতো গরিব মানুষদের ত্রাণ দেয়। তাই বাড়ি থেকে এখানে ত্রাণের আশায় ছুটে এসেছি। পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে আছি।’
একই কথা জানান পঞ্চগড় শহরের রিকশা চালক তহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে বাড়িতে বসে আছি। রিকশা নিয়ে রাস্তায় বের হলে পুলিশ ধরে। আমরা যদি দুই বেলা খেতে না পারি তাহলে করোনাভাইরাসে নয়, না খেয়েই মরতে হবে। তাই ত্রাণ পাওয়ার আশায় ঘুরছি।’
সচেতন মহলের দাবি- প্রশাসনের পাশাপাশি রাজনৈতিক, সামাজিক ও ব্যক্তিগতভাবে যারা ত্রাণ বিতরণ করছে তারা যেন প্রকৃত দুস্থদের মাঝে তা বিতরণ করে। তাহলে নিম্ন আয়ের মানুষদের কষ্ট অনেক কমে যাবে।
পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুল মান্নান জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫ উপজেলায় কয়েক হাজার মানুষের মধ্যে টাকা, চাল ও ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।