বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) হস্তক্ষেপে শিকলবন্দী জীবন থেকে মুক্তি পেয়েছেন এক নারী। শিবগঞ্জের আটমূল আওড়া পাড়া গ্রামে মৃত আব্দুল করিমের মেয়ে ফাহিমা খাতুনকে (৩০) পাগল আখ্যা দিয়ে ঘরে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) রাতে ইউএনও বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ পাঠিয়ে তাকে শিকলবন্দী দশা থেকে তাকে মুক্ত করেন।
জানা গেছে, স্বামী দ্বিত্বীয় বিয়ে করায় সাত বছর আগে ফাহিমা খাতুন বাবার বাড়িতে চলে আসে। এরপর থেকে তিনি মা'র সাথেই বসবাস করে আসছেন। তার মা মেহেরুন বেওয়া জানান, কিছুদিন হলো তার মেয়ে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করেন এবং ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন। এ কারণে তাকে গত ৯ দিন আগে ঘরের মেঝেতে খাটের সাথে শিকল দিয়ে হাত- পা বেঁধে রাখা হয়। শিকল বাঁধা অবস্থায় চলছিল তারা খাওয়া দাওয়া ও ঘুমানো। তবে ফাহিমা খাতুন বলেন, বাড়িতে বসে বসে খাওয়ার কারণে তার মা তাকে মারধর করেন। মারধর ঠেকাতে গিয়ে কিছু জিনিসপত্র ভেঙে যায়।
একই বাড়িতে বসবাসকারী তার চাচাতো ভাই শাহ আলম বলেন ফাহিমা পাগল না, তার মা এমনিতেই তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছে।
শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর কবীর বার্তা২৪.কমকে বলেন, শিকল দিয়ে বেঁধে রাখার খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই পুলিশ পাঠিয়ে ওই নারীকে শিকলবন্দী দশা থেকে উদ্ধার করা হয়। যদি ওই নারী মনসিক প্রতিবন্ধী হয়ে থাকে তাহলে তাকে চিকিৎসা এবং ভাতার ব্যবস্থা করা হবে।