করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে প্রশাসন কঠোর তৎপরতায় বাড়ি থেকে মানুষ বের হওয়ার সংখ্যা অনেকাংশে কমে এসেছে। শুক্রবার (৩ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃংখলাবাহিনীর সদস্যরা মাঠে থাকায় অপ্রয়োজনে চলাচলকারীদের পরিমাণ কমে এসেছে। শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে পুলিশ টহল দেয়ায় মোটরসাইকেলসহ অটোরিকশা চলাচলের সংখ্যা একেবারে কমে গেছে।
শহরের পুরাতন বাজার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচাবাজারে ক্রেতাদের সমাগম অন্যান্য দিনের তুলনায় কম ছিল। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকের মাধ্যমে প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে। সাধারণ মানুষদের ঘরে থাকা এবং রাস্তায় অপ্রয়োজনে আড্ডা ও ঘোরাঘুরি না করে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া সেনাবাহিনীর সদস্যরা জেলার বিভিন্ন স্থানে টহল অব্যাহত রেখেছে। এদিকে আইন অমান্য করায় বৃহস্পতিবার রাতেও জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন যৌথ অভিযান চালিয়ে অটোরিকশা চালানোর দায়ে আটক করা হয়।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক এ জেড এম নূরুল হক বলেন, জেলা প্রশাসনসহ পুলিশবাহিনীর প্রতিটি সদস্য কঠোর অবস্থানে রয়েছে। প্রয়োজন ব্যতীত সাধারণ মানুষ ঘোরাফেরা না করে সেজন্য মাইকিং এর মাধ্যমে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। কোন কারণ ছাড়া বের হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আগামী বেশ কিছুদিন সতর্ক থাকতে হবে, এই সময়টাতে মানুষকে ঘরে থাকতেই হবে। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৮৮ জনকে জরিমানা করা হয়েছে।
এদিকে সরকারি নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে রানিহাটি ও বারোঘরিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে দোকান খোলা, অটোরিকশা চালানো, দোকানে আড্ডাবাজি ও জেলা শহরের নিউমার্কেট এলাকায় দোকান খোলা রাখার দায়ে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি দল অভিযান চালায়।