করোনাভাইরাস সংক্রামণ রোধে গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণা করা হলেও বগুড়া থেকে অসংখ্য বাস যাত্রী নিয়ে ঢাকা যাচ্ছে। গার্মেন্টস খুলে দেওয়ার ঘোষণার পর শ্রমিকরা চাকরি রক্ষার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছেন।
শনিবার (৪ এপ্রিল) বগুড়া-ঢাকা মহাসড়কে বগুড়ার চারমাথা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে এ চিত্র দেখা গেছে।
ঢাকাগামী বাস চলাচলের খবর পেয়ে পুলিশ একটি বাস আটক করে রেকার দিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে যাত্রীদের বাস থেকে নামিয়ে দিয়ে তাদের টাকা ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করে পুলিশ।
মহাসড়ক ঘুরে দেখা গেছে, চারমাথা ও তার আশেপাশের পেট্রল পাম্প থেকে বাসগুলো যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে। সাব্বির নামে এক গার্মেন্টস শ্রমিক নওগাঁ থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় বগুড়ার চার মাথায় আসেন। সেখান থেকে আগমন পরিবহনের একটি বাসে ৫০০ টাকায় ঢাকা যাচ্ছেন। পরে পুলিশ ওই বাস যেতে বাঁধা দিলে তিনি টাকা ফেরত নিয়ে অন্য বাসে ঢাকার উদ্দেশে রওনা করেন।
পরিবহন শ্রমিকরা জানান, মোকামতলা ও চারমাথা বাস টার্মিনাল থেকে শুক্রবার রাতে কমপক্ষে ২৫টি বাস যাত্রী নিয়ে ঢাকায় গেছে। শনিবার সকাল থেকে কমপক্ষে ১০টি বাস চারমাথা থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। পরিবহন শ্রমিকরা আরো বলেন, চারমাথা থেকে বাস ছাড়ার আগে পুলিশকে বাস প্রতি এক হাজার টাকা এবং পথে আরো তিন স্থানে তিন হাজার টাকা দিতে হয়। তারা বলেন, ঢাকায় গার্মেন্টসগুলো খুলে দেয়ার কারণে শুক্রবার রাত থেকে যাত্রীদের চাপ বেড়ে যাওয়ায় কিছু কিছু বাস তাদেরকে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছে।
তবে বগুড়া মটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, একটা বাস ঢাকা যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল সেটা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান বার্তা২৪.কমকে বলেন, পুলিশ কোনো বাস থেকেই টাকা নেয় না, এটা শতভাগ নিশ্চিত।