করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জীবনযাত্রা সীমিত হলেও কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে। ফলে শনিবার (৪ এপ্রিল) সকাল থেকে করোনা রোধে টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নজরদারি বাড়িয়েছে র্যাব-১৫।
র্যাব-১৫ টেকনাফ সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার এএসপি মো. শাহ আলমের নেতৃত্বে পাঁচটি ক্যাম্পে র্যাবের দুটি দলের টহল অব্যাহত রয়েছে।
র্যাব জানায়, সরকার করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে যান চলাচলসহ বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি সবাইকে ঘরে থাকতে বলা হয়েছে।
তবে টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চিত্র ছিল ভিন্ন। তারই সূত্রে র্যাবের টহল দল ক্যাম্পে তৎপরতা শুরু করে। সেখানে বাড়িতে সঙ্গরোধসহ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে র্যাব।
টহল দলের নেতা র্যাব কর্মকর্তা এএসপি মো. শাহ আলম বলেন, ‘করোনা বিস্তার রোধে সরকারি যেসব নির্দেশনা রয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়নে র্যাব সদস্যরা ক্যাম্পে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। ক্যাম্পে নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকান ছাড়া সকল দোকান বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। মানুষ যাতে ঘরে থাকে সে-বিষয়ে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় ঝুঁকিটা বেশি। ফলে এ রোগ যাতে শিবিরে না ছড়ায়, সে ব্যাপারে গুরুত্ব দিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।’