পিপীলিকার মতো দলে দলে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। গার্মেন্টস খোলার ঘোষণায় সরকারি নির্দেশনা ভেঙে শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুর থেকে সাভারে থমকে যাওয়া ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে দেখা গেছে কয়েক হাজার শ্রমিককে। এদের অধিকাংশই ভেঙে ভেঙে দুর্ভোগের মধ্যে ফিরছেন ঢাকার পথে।
শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ ও সেনা সদস্যদের টহল এর মধ্যেই পায়ে হেঁটে কিংবা ইজিবাইকে করে তাদের দেখা গেছে ঢাকার পথে। ঢাকামুখী এ স্রোত ঠেকাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের।
ঢাকা ফেরত শ্রমজীবী মানুষ বলছেন, দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় কখনো স্বল্প পাল্লার গাড়িতে কখনো পায়ে হেঁটে বা ইজিবাইকে করে তারা ঢাকার পথ ধরেছেন।
রাজবাড়ী থেকে আসা ঢাকার মিরপুরের একটি তৈরি পোশাক কারখানার অপারেটর রোজিনা খাতুন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, দেশে যে থাকুম হাতে কোনো টাকা পয়সা নাই। অনেক কষ্টে পাটুরিয়া হইয়া ঢাকা ফিরতাছি। গার্মেন্টসে পৌঁছাতে পারলেই বেতন পামু। অন্তত পেটটা চলবো।
একই কথা বলছিলেন মহাখালী এলাকার একটি তৈরি পোশাক কারখানার অপারেটর জসীম উদ্দীন। পাবনার আটঘরিয়া থেকে আসা জসিম জানান, মানিকগঞ্জ হয়ে সাভার পর্যন্ত আসতেই তার ব্যয় হয়েছে সাড়ে ৪'শ টাকা। সাভারের বিশমাইল পর্যন্ত কোনো মতে এসেছেন। ইজিবাইকে চড়ে গাবতলী যাওয়ার পথে তাকে আটকে দেওয়া হয়েছে। যত রাতই হোক যেভাবেই হোক তিনি ঢাকায় ফিরবেন বলে জানান।
এরমধ্যে অবশ্য মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহন আটকে চালকদের জরিমানাও করতে দেখা গেছে।
সাভার হাইওয়ে থানার পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল্লাহেল বাকী জানান, একদিকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য আমাদের পথে নামানো হয়েছে। অন্যদিকে আবার তৈরি পোশাক কারখানা খোলার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আমরা নিজেরাও বুঝে উঠতে পারছিনা আমাদের কি করা উচিত।
এদিকে পুলিশের তৎপরতার কারণে ঢাকা ফেরত অসংখ্য মানুষের দুর্ভোগের মাত্রা আরও বেড়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন আটকে পড়া মানুষ।