সরকারি নির্দেশনায় সারা দেশের মতোই কুড়িগ্রামে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। করোনার মহামারি নিয়ে বিশ্বের অনেক দেশে এখন চলছে লকডাউন। গবেষণা চলছে মুক্তির উপায় নিয়ে। এখনও আবিষ্কৃত হয়নি প্রতিষেধক। তারপরও চলছে বাঁচার অদম্য চেষ্টা।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার থেকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের কঠোর অবস্থানের ফলে ওষুধের দোকান ও কাঁচাবাজার ছাড়া সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সন্ধ্যা ৭টার পর বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে কাঁচাবাজারও। কমে গেছে রাস্তা-ঘাটে মানুষের চলাচলও।
কিন্তু এই সময়টাতে করোনার ভয় না করে দিনমজুরির কাজ করছেন কুড়িগ্রামের অনেক শ্রমিক। তাই করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছেন এ সব শ্রমজীবী মানুষ।
রোববার (৫ এপ্রিল) সরেজমিনে দেখা যায়, কুড়িগ্রাম-যাত্রাপুর সড়কের ধরলার পাড় ও শুলকুর বাজার এলাকায় করোনার ভয় না করে ঝুঁকি নিয়ে ব্রিজ সংস্কারের কাজ করছেন শ্রমিকরা।
শ্রমিক শহিদুল ও কামাল বার্তা২৪.কম-কে বলেন, কাজ না করলে পেট চলে না। হাতে টাকা না থাকলে স্ত্রী সন্তানদের কি খাওয়াবো। এই করোনাভাইরাসের চেয়ে আমাদের পেট বড়। পেটে খিদে লাগলে কিছু ভালো লাগে না। একদিন তো মরতে হবেই, তাই খেয়ে -দেয়ে মরতে চাই।
নারী শ্রমিক মমিনা বেগম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, অনেক আগে স্বামী ছেড়ে চলে গেছে। পরিবারে তিনজন সদস্য রয়েছে একদিন কাজ না করলে চলে না। আমি যদি কাজে না যাই কে কর্ম করে খাওয়াবে, কাজে বাহির না হলে তো খাওয়া বিনাকর মরতে হবে। এ জন্য কাজ করতে এসেছি। যেহেতু সরকারের পক্ষ থেকে এতো মাইকিং করা হচ্ছে তাই সাবধানে কাজ করছি।