দ্বিতীয় দফায় পোশাক কারখানা বন্ধ হওয়ায় ফের বাড়ি ফিরছেন শ্রমিকরা। পোশাক কারখানা শ্রমিকদের পদচারণায় মুখরিত ঢাকা আরিচা মহাসড়ক। তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ঘরমুখো এসব যাত্রীরা।
এদিকে, গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করতে মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট বসিয়ে ঢাকামুখী যানবাহনগুলো ফেরত পাঠাচ্ছে পুলিশ। তবে পুলিশের চেকপোস্ট ফাঁকি দিয়েই পিকআপ ও রিকশা ভ্যানে করে বাড়ি যাচ্ছেন অনেকেই। কেউ কেউ আবার পায়ে হেঁটেই ছুটে চলছেন গন্তব্যে।
রোববার (৫ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা আরিচা মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের চেকপোস্ট দেখা যায়। যাত্রীদের সচেতনতায় মাইকিং করে যাচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। করোনা সংক্রমণ এড়াতে মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নিয়েছে মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ।
মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পাটুরিয়ামুখী যাত্রী নাজমা বেগম জানান, পোশাক কারখানায় কাজে যোগ দেওয়ার জন্য কর্মস্থল এলাকা নবীনগরে যান তিনি। সকালে অফিসে গিয়ে দ্বিতীয় দফায় কারখানা বন্ধের খবরে ফের বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছেন।
তবে ঢাকা আরিচা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় বেশ ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আফজাল হোসেন চন্দন নামের এক পোশাক কারখানা শ্রমিক জানান, নবীনগর থেকে পিকআপ ও রিকশা করে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকা পর্যন্ত এসেছেন তিনি। এরই মধ্যে প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকা পায়ে হেঁটে আসতে হয়েছে। বাকিটুকু কীভাবে যাবে তা আল্লাহই ভালো জানেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মানিকগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর সাহা বার্তা২৪.কম-কে জানান, পাটুরিয়ামুখী মানুষের বেশ চাপ রয়েছে ঢাকা আরিচা মহাসড়কে। ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে আসা প্রাইভেটকারগুলো বুঝিয়ে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। এরপরও বিভিন্ন কৌশলে পায়ে হেঁটে ও ছোট ছোট যানবাহন করে বাড়ি যাচ্ছেন অনেকেই।