যে সড়ক দিয়ে দিনে-রাতে হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে সেই সড়ক এবং মহাসড়ক এখন পুরো ফাঁকা। দুই একটি অটোরিকশা, অ্যাম্বুলেন্স আর মাঝে মাঝে আইনশৃঙ্খলা-বাহিনীর টহল দেওয়ার কয়েকটা গাড়ি ছাড়া আর কিছুই চলছে না।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমানোর জন্য সরকার সব ধরণের জনসমাগম ও গণ পরিবহন বন্ধ ঘোষণা করায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক ও দৌলতদিয়া-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক এখন যানবাহন শূন্য। এ সকল সড়ক দিয়ে চলছেনা কোন আন্ত:জেলা বাস ও ঢাকাগামী পরিবহন। ফলে খাঁখাঁ করছে সড়কগুলো।
রোববার ( ৫ এপ্রিল ) দুপুরে সরেজমিন রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়ায় দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। যে সকল সড়কে যানবাহনের চাপে চলাচল করাটাই মুশকিল হয়ে দাঁড়াত, সেই সড়ক এখন পুরোপুরি ফাঁকা। মাঝে মাঝে কয়েকটি অটোরিকশা ও ভ্যান গাড়ি চোখে পড়ে। এছাড়া চলছে অ্যাম্বুলেন্স ও টহলরত হাইওয়ে পুলিশের গাড়ি। চৈত্রের পড়ন্ত দুপুরে খাঁ খাঁ করছে সড়কের পিচগুলো। সড়কগুলো ফাঁকা পেয়ে অনেকটা বেগতিকভাবেই যাচ্ছেন মোটরসাইকেল চালকেরা।
গোয়ালন্দ মোড়ে দেখা যায়, দুই একটি মাইক্রোবাস ও ছোট গাড়ি ঘাটমুখী আসতে চাইলে গোয়ালন্দ মোড় থেকেই সেগুলো পুলিশ ফিরিয়ে দিচ্ছি। তারা বলছে- গণ পরিবহন বন্ধ থাকায় অ্যাম্বুলেন্স ব্যতীত কোনো গাড়িই সড়কে চলতে পারবেনা।
রাজবাড়ী বাস মালিক শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বার্তা২৪.কমকে বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে সরকার গণ পরিবহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় সড়ক কিংবা মহাসড়কে কোনো যানবাহনই নেই। আমরা সরকারের এই নির্দেশ মান্য করেই জেলা থেকে কোনো ধরনের বাস চলাচল করতে দিচ্ছি না।